ফসলি জমি কেটে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে ধুবিল ইউনিয়ন কৃষকলীগের (নিষিদ্ধ সংগঠন) ভূমি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল বারিক খোন্দকার নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের ক্ষমতা অপব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে সে অবৈধভাবে কৃষি জমি কেটে পুকুর খনন করছে, যা এলাকার কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
স্থানীয় কৃষকদের ভাষ্যমতে, এই জমিগুলোতে বছরে তিন থেকে চারটি ফসল উৎপাদন হতো। অথচ এখন পুকুর খননের ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে এবং সেচব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে। আর বেতুয়া গ্রামের সকল পুকুর খনন কারীর মূল হুতা এই কৃষকলীগের নেতা আব্দুল বারীকের কারনে বেতুয়া গ্রামের ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে।সাধারণ কৃষকদের টাকার লোভ দেখি অবাধে করছে পুকুর খনন।
শনিবার বিকেলে সরেজমিন বেতুয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়,নিষিদ্ধ কৃষকলীগ নেতা আব্দুল বারীক তিন ফসলি ১৫ বিঘা জমি থেকে ৭ থেকে ৮ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নিচ্ছেন। ফলে চারপাশের ফসলি জমি চাষাবাদে হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কায় আছেন ভূমি মালিকরা। আর এই মাটি খনন করা দেখতে ছোট ছোট শিশুরা ভীর করছেন, যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
মাটি ব্যবসায়ী ও নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা আব্দুল বারিক খোন্দকার সলঙ্গা থানার ধুবিল ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের মৃত আয়নাল খোন্দকারের ছেলে।
ধুবিল ইউনিয়ন কৃষকলীগের (নিষিদ্ধ) ভূমি বিষয়ক সম্পাদক ও মাটি ব্যবসায়ী বারীক সরকার বলেন, পুকুর খনন করছি তাতে দোষের কিছু না। প্রশ্নের এক জবাবে বলেন,আমার পুকুর খনন কাজে কোনও রাজনৈতিক দল বা প্রশাসন আসে না। কারন রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের সকল দপ্তর ম্যানেজ করেই আমি কাজ করছি।
বেতুয়া গ্রামের মৃত হাজী ওসমান গনি ছেলে জমির মালিক আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন পুকুর খনন করার কথা শিক্ষার করে বলেন, আমার ৮ বিঘা জমি ও অন্যদের জমি আছে। মাটি কাটার জন্য আব্দুল বারীক কে চুক্তি দিয়েছি। জমি শ্রেণি পরিবর্তন করার বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের জমি শ্রেণি পরিবর্তনের জন্য কোন আবেদন বা অনুমতি নেওয়া হয় নাই।
ধুবিল ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মুনসুর আলী বলেন, মাটি খনন করার বিষটি আমার জানা ছিলো না। এখনই বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ুন কবির জানান, পুকুর খননের বিষয়টি আমার জানা নেই,সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসককে বলে দিচ্ছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সচেতন নাগরিকরা। তারা অবিলম্বে ফসলি জমি রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।