রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন

পুকুর ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তার আবুল কালামের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ২৫ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ৫:১৪ অপরাহ্ন

সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ উপজেলায় যমুনা সেতুর পশ্চিমে সয়দাবাদ-নলকা মহাসড়কের পাশে পুকুর ইজারা দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ উঠেছে, আবুল কালাম বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সাইট অফিস ভুয়াপুর টাঙ্গাইলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করছে। যমুনা সেতুর পশ্চিমে প্রায় ৪২টি পুকুর রয়েছে যেগুলো ৩বছর মেয়াদে ইজারা প্রদান করা হয়। যারা পুকুর ইজারা নেন তাদের নিকট থেকে বিভিন্ন ভাবে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন তিনি।

বাংলা ১৪৩২ থেকে ১৪৩৪ পর্যন্ত পুকুর ইজারা দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। শরিফুল ইসলাম ও আশরাফুল আলম নামে দু ব্যক্তি WP-১৪, WP-১৫ নং পুকুরের সিডিউল ক্রয় করে সরকারির মূল্যের চেয়েও বেশি টাকা দিয়ে টেন্ডারে অংশগ্রহন করেন, কিন্তু আবুল কালাম অনিয়ম করে পূনরায় টেন্ডার এর ব্যবস্থা করান এবং ইমান আলী ও মোতালেব এর নিকট থেকে অর্থ নিয়ে ২য় দফায় দরপত্রের মাধ্যমে তাদের পুকুর দুটি পাওয়ার ব্যবস্থা করে করে দেন।শুধু তাই নয় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে দেন।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (এস্টেট) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগে দিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। অভিযোগে জানান, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পুকুর ইজারা দরপত্র বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ডচ-১৫ নং পুকুরের দরপত্র ক্রয় করে টেন্ডারে করেন।

আশরাফুল আলম জানান, নিয়ম অনুযায়ী সর্ব্বোচ্চ দর দাতা হিসেবে বিবেচিত হয়ে গত ২০২২ সাল থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত ১ম বারের মত পুকুর চাষ করছেন। ২০২৫ সালে দ্বিতীয় দফায় সেতু কর্তৃপক্ষ ২য় বারের মত পুকুর ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং পুনরায় সিডিউল ক্রয় করে বিধি মোতাবেক জমা প্রদান করেন। WP-১৫ নং ৬৫০০০/- মোঃ মোতালেব WP-১৪ নং ইমান আলী ৩৫০০০ টাকা ইজারা মূল্যে এর নিকট উক্ত পুকুর লিজ দেয়া হয়েছে। ১ম বারের মুল্যের চেয়ে দ্বিতীয়বার কম মূল্যে ইজারা দেয়া হয়েছে।কয়েকটি ভূমিহীন পরিবার দীর্ঘ ২০ বৎসর চাষ করে আসছে পুকুর দুটি। উক্ত টেন্ডারের বিষয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ভুয়াপুর সাইট অফিসের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম পুকুরটি দ্বিতীয়বার পাইয়ে দেয়ার জন্য অর্থ দাবী করে। তবে অর্থ না দেওয়ায় পুকুরের ইজারা আশরাফুল আলম ও শরীফুল ইসলামকে বঞ্চিত করেন। গতবছরের চেয়েও কম মূল্যে অস্বাভাবিক ভাবে ইজারা পায় ইমান আলী ও আব্দুল মোতালেব উক্ত অর্থ প্রদান করার অপারগতা প্রকাশ করিলে তিনি টেন্ডার কমিটিকে প্রভাবিত করে পুকুরের সিমানার বাইরের লোক জনের সাথে যোগাযোগ করে তাদের নামে নিজে সিডিউল ক্রয় করে টেন্ডারে অংশগ্রহন করান যার প্রমান অত্র অফিসেই জমা আছে। এছাড়াও অন্য আরো ব্যক্তির নিকট থেকেও অর্থ গ্রহন করেছে উক্ত সিডিউলে ঠিকানা লেখা আছে ইমান আলী ও মোতালেব কামারখন্দ সিরাজগঞ্জ কিন্তু উক্ত ব্যক্তির বাড়ি ধুকুরিয়া, সিরাজগঞ্জ সদর।

এবিষয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইজারা কত টাকায় কে পাবে? এটি আমরা জানি না। আপনারা মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটি আছে উনারা কে ইজারা পাবে সেটি ঠিক করে।

এই বিষয়ে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেলকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি৷

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir