আতাউর শাহ্, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁয় তুলশীগঙ্গা নদীর খননকৃত মাটি অবৈধ ভাবে বিক্রি বন্ধের প্রতিবাদ করায় স্থানীয় কাউন্সিলরের উপর হামলা ও মারপিট করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২ এপ্রিল) দুপূরে নওগাঁ পৌরসভা ৯নম্বর ওয়ার্ড বাসীদের আয়োজনে শহরের তুলশীগঙ্গা ব্রিজের ওপর এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।
মানববন্ধনে নওগাঁ পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান সাগর এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ সদর থানার যুবলীগের সভাপতি রায়হানুল ইসলাম রায়হান, জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি বুলু জোয়ার্দ্দার ও সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা শাখার আব্দুর রশিদসহ অন্যরা। এসময় ওই ওয়ার্ডের প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ এই কর্মসূচীতে অংশ নেন।
জানা গেছে- মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ৯নম্বর ওয়ার্ডের রজাকপুর, চকরামপুর, ভবানীপুর, বোয়ালিয়া, পিরোজপুর, শেখপুরা গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তুলশীগঙ্গা নদী খননের কাজ শেষ হয়। মাটিগুলো নদীর পাড়ে ফেলে রাখে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এমতাবস্তায় নদীর খননকৃত মাটি অবৈধভাবে রাতের অন্ধকারে বিক্রি করছে কতপিয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। নদী খননের সময় অনেকের ব্যক্তি মালিকানা জমিও খনন হয়েছে।
এছাড়া খননকৃত মাটি ব্যক্তিগত জায়গায় রাখা হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত নদীর বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। রাতের-আধারে খননকৃত মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসব কাজে প্র্রতিবাদ করাসহ বাঁধা দেওয়া স্থানীয় ৯নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান সাগরকে গত ২৫ মার্চ রাতে হামলা করেন কতিপয় দূর্বৃত্তরা। হামলার ঘটনায় তিনি ৭জন সহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।
মানববন্ধনে এলাকাবাসীরা বলেন- পাড়ে ফেলা মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ হলে ঘরবাড়ি রক্ষা পেতো। নদী পাড়বাসী যখন স্বপন দেখছিলেন নিজেদের সম্পাদ রক্ষা হবে তখন স্থানীয় এক প্রভাবশালী এক নেতার ছত্রছায়ায় তার নেতাকর্মীরা রাতের অন্ধকারে নদীর পাড়ের মাটি অবৈধ ভাবে বিক্রি করছে । এসব মাটি শেষ হলে বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব হবে না। নদীর বাঁধ না থাকায় সামনে বন্যা এলে প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাঁধের মাটি না সরিয়ে সেখানে ঘর তৈরি করে দিলে অনেক ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের (আদিবাসীর) আশ্রয় হবে। তারা সেখানে বসবাস করতে পারবে। দ্রুত মাটি বিক্রি বন্ধসহ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাসীরা।
কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান সাগর বলেন, এলাকার ভাল করতে গিয়ে আমার ওপর হামলা ও মারপিট করা হয়েছে। হামলার পর গত ২৮মার্চ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত থানা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। থানা পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করছে।
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, এ বিষয়ে কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান সাগর থানায় কোন অভিযোগ দেননি। তবে অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।