সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সিরাজগঞ্জে শিশু কন্যাকে হত্যার পর বস্তাবন্দী করে পালাল সৎমা শিগগিরই ‘শক্তিশালী আন্দোলন’ শুরু হবে: নাহিদ টঙ্গীতে মোবাইল ছিনতাই করতে গিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক মাহফুজকে হত্যা পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা; আনসার সদস্যদের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ সত্য নয়: আনসার ডিজি আবারও সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলো ডিএমপি সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ল চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ধরতে চিরুনি অভিযান শুরু হতে পারে:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কুড়িগ্রামকে মাদকমুক্ত করতে অভিযান চলবে-জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা  টাঙ্গাইলে ঘাটাইলের জোরদিগিতে মসজিদের নামে জমি দান করায় দানকারীর বিরুদ্ধে ৬টি মিথ্যা মামলা  বিএনপির বিরুদ্ধে  ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে  কাজিপুরে বিক্ষোভ মিশিল  

শিশুদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করার পথে অস্ট্রেলিয়া?

অনলাইন ডেস্ক: / ১৭৪ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:২২ অপরাহ্ন

এবার শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এর জন্য দেশটির সরকার ন্যূনতম বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

মোবাইলসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে শিশুদের দূরে রাখতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিশুদের খেলার মাঠে ফেরাতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এসব কথা বলেছেন।
অল্প বয়সীদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেতিবাচক প্রভাবকে অভিশাপ বলে উল্লেখ করেছেন আলবানিজ। তিনি জানিয়েছেন, শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে রাখতে চলতি বছর কেন্দ্রীয়ভাবে একটি আইন প্রণয়ন করা হবে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লগ ইন করার ন্যূনতম বয়সসীমা কত হতে পারে, তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

তবে এই বয়সসীমা ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে রাখা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওয়েবসাইট ব্লক করে দেওয়ার পক্ষে আলবানিজ।

আলবানিজ বলেছেন, আগামী মাসগুলোতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের বয়স যাচাই পদ্ধতির পরীক্ষা চালানো হবে। তবে অনলাইনে বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি আদৌ কার্যকর করা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকেরা।

আলবানিজ বলেন, ‘আমি শিশুদের ডিভাইস থেকে দূরে দেখতে চাই এবং চাই তারা খেলার মাঠে, সুইমিং পুলে এবং টেনিস খেলার মাঠে থাকুক।’

অস্ট্রেলিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম এবিসিকে আলবানিজ বলেন, ‘আমরা চাই তারা (শিশুরা) সত্যিকারের মানুষদের সঙ্গে মিশে সত্যিকারের অভিজ্ঞতা অর্জন করুক। কারণ, আমরা জানি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সামাজিক ক্ষতির কারণ।’

আলবানিজ আরও বলেন, ‘এটি (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) একটি অভিশাপ। আমরা জানি এটি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বাজে প্রভাব ফেলে। কম বয়সীদের অনেককে এ জন্য ভুক্তভোগী হতে হয়েছে।’

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল বিরোধী দলীয় নেতা পিটার ডাটন বলেছেন, তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ার বিষয়টিকে সমর্থন জানাবেন।

তবে মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক টোবি মারে বলেছেন, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের জন্য নির্ভরযোগ্য কোনো প্রযুক্তি অস্ট্রেলিয়ায় আছে কিনা, তা নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে বর্তমানে বয়স যাচাইকরণ যে পদ্ধতিগুলো আছে তা নির্ভরযোগ্য নয়। এ প্রক্রিয়াকে সহজেই ফাঁকি দেওয়া যায়। এটি ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।’

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, সমস্যাগ্রস্ত শিশুদের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই বয়সসীমার এই বিধিনিষেধ সহায়ক হবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir