সিরাজগঞ্জের চৌহালী সরকারি কলেজে এইচএসসির ফরম পুরনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তথ্য চাওয়ায় এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেছেন অধ্যক্ষ । রবিবার দুপুরের দিকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাপ্ত তথ্য জানা যায়, চৌহালী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলামের নির্দেশে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে । মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে সরকার নির্ধারিত সর্বসাকুল্যে ফি ২২২৫ টাকার স্থলে ৩১৪৫ টাকা ও বিজ্ঞান বিভাগের ২৭৮৫ টাকা নির্ধারণ থাকলেও ৩৫৬৫ টাকা এবং অনলাইন ১০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এবছর মোট পরীক্ষার্থী ৮৭১ জন।
এরমধ্যে বিগত বছরে এক বিষয়ে অকৃতকার্য প্রায় ১২০ জন শিক্ষার্থী। তাদের কাছ থেকে ১৯৪৫ টাকা করে নেয়া হচ্ছে ।
অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে ফরম ফিলাপে যমুনা চরের হতদরিদ্র অনেক পরিবারের শিক্ষার্থীর পক্ষে কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়েছে। তারা এর প্রতিবাদ ও অভিযোগ করে জানান, সরকারের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নানা অজুহাতে ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে। চাহিদামত টাকা না দিলে ফরম ফিলাপ করতে দিচ্ছে না।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে বেসরকারি টেলিভিশনের স্থানীয় প্রতিনিধি ফরহাদ হোসেন তথ্য চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এসময় অফিসে অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্ধীদের সামনে উত্তেজিত ভাষায় গানমন্দ করে হুমকি প্রদান করেন। এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক ফরহাদ হোসেন জানান, এইচএসসির ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে, এ তথ্য জানতে চাওয়া মাত্রই কলেজের অধ্যক্ষ অফিস কক্ষ্যে আমার উপর চড়াও হন। এছাড়া তোর কাছে শুনে শুনে আমি কলেজ চালাবো নাকি। আমার যা খুশি আমি তাই করব। তুই যা পারিশ করবি। এঘটনায় আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চৌহালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষার বোর্ড ফি ১৪৩০ টাকা, ব্যবহারিক পরীক্ষা ফি ৬৩০ টাকা, ট্রান্সক্রিপ্ট ফি ১৫০ টাকা, সনদ ১০০ টাকা, সরকারি বেতন ৪৮০ টাকা, রোবারস্কাউট ফি ২৫ টাকা, ম্যানেজমেন্ট ফি ৫০ টাকা, মসজিদ ও উন্নয়ন ২৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে। তবে কোন উচ্চ বাক্য বিনিময়ই প্রত্যাশিত ছিল না।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল মিয়া জানান, ঘটনার সময় আমি জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় ছিলাম। তবে সরকারি নির্দেশনা মেনে অধ্যক্ষকে ফরম ফিলাপে বলা হয়েছে। অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দালাল মুক্ত campus চাই নির্বোধ ঘুষখোর অবৈধ শিক্ষকদের পদত্যাগ চাই, শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য নিয়মিত পৃরতি বিষয়ের আলাদা আলাদা শিক্ষক দ্বারা পাঠদানের জন্য পরিবেশ চাই । কলেজ থেকে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেগুলো আছে সেগুলো অতি দ্রুত কলেজ থেকে সরানোর জোর দাবী জানাচ্ছি অন্যথায় কলেজেে লেখা পড়াও আগের মতো হচ্ছে না হবেও না কলেজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থাকায় ছাত্র ছাত্রীরাও কলেজে আসতে চায় না কারণ কলেজের মাঠ থাকে বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসের কর্মসূচি দিয়ে ভরা এক কথায় পাবলিক প্লেস হয়ে গেছে কলেজের মাঠ এবং বিভিন্ন শ্রেণীকক্ষ হয়ে গিয়েছে অন্যন্য অফিসের বিভিন্ন রকমের শাখা এক কথায় ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদানের মতো কোনো ভালো কক্ষ নাই একটা টিনসেট ঘর তোলা হয়েছে সেখানে গরমের সময় থাকা যায় না। মেয়েদের সু রক্ষার জন্য আলাদা কমোন রুম তো নেই-ই একটাই ঘর আছে যেখানে HSC পর্যায়ের বিজ্ঞান, মানবীক, ব্যাবসায় শিক্ষাসহ আরো যতো শাখা আছে সে সকল শাখার মধ্যে হঠাৎ কোনো এক শাখার ক্লাস চল্লে অন্য কোনো শাখার ক্লাস নেওয়ার মতো জায়গা সেই ঘরে থাকে না । এক পর্যায়ে বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থীরা কলেজে আসে না আরো বিভিন্ন কারণও অবশ্যি রয়েছে.. এতে করে কলেজের শিক্ষার মান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ছাত্র ছাত্রীদের মেধা নষ্ট হয়ে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত হচ্ছে এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা লেখা পড়া ছেড়ে সুন্দর সুশীল সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখা ছেলে মেয়েরা অকালে ঝরে যাচ্ছে। কারণ এখানকার চরা অঞ্চলের স্থানীয় মানুষজন তাদের ছেলে মেয়েদের টাকা পয়সার অভাবে বাহিরে রেখে extra খরচ বহন করে পড়ানোর মতো অর্থনৈতিক অবস্থা না থাকায় স্থানীয় কলেজে ভর্তি করায় কিন্তু এখানেও সেই রকম আগের মতো পরিবেশ পরিস্থিতি না থাকায় অনেক মেধাবী ছাত্র ছাত্রীর উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন মাটিতে মিশে যাচ্ছে..। দিন দিন কলেজ তার পূর্বের সেই জৌলুশ হারিয়ে ফেলছে বিকালে মাঠে গরু ছাগল চারাচ্ছ আবার যদিও একটু যাই হোক আছে সেখানেও অবৈধ শিক্ষকদের ঘুষ বানিজ্যের কারনেও অনেকে টাকার অভাবে ফরম ফিলাপ করতে পারে না এখানে আজকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এটা সত্যি এর বাহিরেও আরো অনেক অনৈতিক কাজও রয়েছে ৫০০০-৬০০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়ার রেকর্ডও আছে। এটা আজকে নতুন নয় । এছাড়া আরো অনেক সমস্যা আছে এই কলেজের তা এখানে বর্ণনা করা সম্ভব হচ্ছে না কারণ আমি এই কলেজেরই একজন ছাত্র আমি এখান থেকে অনেক কিছুই জেনেছি যতটুকু না পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা অর্জন করেছি তার থেকে কলেজের বিভিন্ন মন্দ দিকের বিষয়ে ভালো জেনেছি এক কথায় এই কলেজে এখন লেখা পড়া নেই শুধু শুধু সরকারের দপ্তরে কলেজের নাম করে কিছু কুচক্রী মহল তাদের সম্পদের পাহাড় গড়িতেছ…..
বিশেষ অনুরোধ রইল এই পোস্ট নওউজ হিসাবে প্রচার করার তবে আমার ব্যাক্তিগতো তথ্যের যেনো কোনো সুরক্ষার ঘাটতি না হয়