নাটোরের বড়াইগ্রামে নিম্মমানের ইট দিয়ে এক কিলোমিটার এইচবিবি রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোন ফল পাননি। এতে জনসাধারণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ‘শিবপুর পদ্মবিলের নিকট এইচবিবি রাস্তার মাথা হতে কচুয়া ব্রিজ অভিমুখে এবং শিবপুর সোহেলের বাড়ির নিকট এইচবিবি রাস্তার মাথা হতে চৌরাস্তার মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা এইচবিবি করণ’ কাজ চলছে। গ্রামীণ মাটির রাস্তাগুলো টেকসই করার লক্ষ্যে হেরিং বোন বল্ড (এইচবিবি) করণ ২য় পর্যায়ের আওতায় মোট ৮০ লাখ ৫৭৯ টাকা ব্যয় বরাদ্দে ঠিকাদার ফয়সাল আহমেদ শুভ রাস্তাটি নির্মাণ করছে।
কিন্তু শিডিউলে এক নম্বর ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কথা থাকলেও শুরু থেকেই ঠিকাদার নিম্মমানের তিন নম্বর ইট দিয়ে রাস্তার কাজ করছেন। এছাড়া বালুর পরিমাণও কম দেয়া হয়েছে। রাস্তায় কর্মরত ঠিকাদারের লোকজনকে স্থানীয়রা বারবার এ বিষয়টি জানালেও তারা কর্ণপাত করছেন না। এমনকি এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তায় ব্যবহার করা ইটগুলোর ৭৫ ভাগই মিঠা বা তিন নম্বর ইট। সাধারণ সাইকেল বা ভ্যানের চাপেই এসব ইট ভেঙ্গে যাচ্ছে। ইটের নীচে তিন ইঞ্চি পরিমাণে বালু দেয়ার কথা থাকলেও কোথাও এক ইঞ্চি কোথাও দুই ইঞ্চি বালু দেয়া হয়েছে। এ সময় সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, আমাদেরকে ঠিকাদার যা দিয়েছে আমরা তা দিয়েই কাজ করছি। আমাদেরতো কিছু করার নাই।
শিবপুর গ্রামের এ ব্যাপারে শিবপুর গ্রামের আব্দুর রহিম জানান, রাস্তায় ব্যবহার করা ইটগুলো একেবারেই নিম্নমানের। শতকরা ২০ ভাগ ইটও ভাল নেই। এছাড়া বালুর পরিমাণও কম দিচ্ছে। আমরা আপত্তি করলেও ঠিকাদার বা তার লোকজন কর্ণপাত করছে না।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি মামুন জানান, ইটের মান খারাপ না, কিছু লোক এমনিতেই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এমদাদুল হক জানান, আমি নিজে গিয়ে ঠিকাদারকে নিষেধ করেছি, ভাল মানের ইট দিতে বলেছি। তারপরও যদি খারাপ ইট দেয় তাহলে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।