মাত্র সাত মাসে রাজস্ব ফাঁকির বড় একটি চিত্র জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট। এ সময়ে ১৮৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোট এক হাজার ৮৭৪ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির তথ্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা আদায় করে তা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৭ মাসে গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে ১৮৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকির প্রাথমিক তদন্তে এক হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির বিষয় উদঘাটন করেছে সংস্থাটি। ৬৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে ইতোমধ্যে ২৩১টি চালানের মাধ্যমে ১১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা উদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সুনির্দিষ্ট কর ফাঁকির তথ্য পাওয়ায় এ পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রাজস্ব খাতে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের কার্যক্রম নৈতিকতা, প্রযুক্তি ও আইনগত দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত। ইতোমধ্যে ইউনিট যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা প্রমাণ করে যে, শুধু রাজস্ব আদায় নয়, বরং করদাতাদের আইন মেনে চলার প্রবণতা বৃদ্ধিতে এবং একটি সুস্থ কর সংস্কৃতি গড়ে তুলতেও এই ইউনিট কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, শুল্ক ও কর ফাঁকি উদঘাটনসহ গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এনবিআরের অধীনে আয়কর বিভাগের পাশাপাশি ভ্যাট ও শুল্ক বিভাগেও আলাদা গোয়েন্দা ইউনিট রয়েছে। এছাড়া, এসব কার্যক্রমকে সমন্বিতভাবে পরিচালনার জন্য এনবিআরের অধীনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) নামে একটি স্বতন্ত্র ইউনিটও কাজ করছে।