তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে হতাহতের ঘটনায় ১২ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী মো. বাদশা আওয়ামীলীগের পেতাত্বা ও দোসরদের প্ররোচণায় ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামী নাম বাদ দিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাদের দলীয় ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হেয়পতিপন্ন ও হয়রানীর ষড়যন্ত্রের জালে ফেলতে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী উল্লেখ করে যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় তারা ঘটনার সাথে জড়িত ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত (২০ মার্চ) সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় ( ২১ জুন ) ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ইউনিয়ন বিএনপি তার অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মি ও স্থানীয় যুবক ও মুরুব্বীদের উদ্দ্যেগে এক শালিসী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শালিসী বৈঠকে বাদী মো. বাদশা বলেন- আমার ছেলে ছাত্রদল নেতা তাওরাত এর সাথে শান্ত শাহিন গংদের মারামারির এক পর্যায়ে আমার ছেলে আহত হয়। আহত ছেলেকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
এ বিষয়ে আমি শান্ত শাহিনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে আওয়ামীলীগের পেতাত্বা সেলিম ছোনগাছা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক ফজল, মৎস্যজীবি দলের জেলা যুগ্ন আহবায়ক মহব্বত ও জুয়ার পার্টনার মামুন আমাকে বলে আপনি চলে যান যা করার আমরা করছি। এই সুযোগে ১২ জন আসামীর মধ্যে শাহিন বাদে ১১ জনই নিরাপরাধ। ১১ জন আসামী ঘটনার সাথে জড়িত ছিল না বা তারা উক্ত ঘটনার কিছুই অবগত নয় বলে শালিসী বৈঠকে বাদী উল্লেখ করেন।
বৈঠকে স্থানীয়রা জানান -আওয়ামীলীগের দোসর সেলিম ছোনগাছা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক ফজল,
মৎস্যজীবি দলের জেলা যুগ্ন আহবায়ক মহব্বত ও জুয়ার পার্টনার মামুন নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে ষড়যন্ত্রমুলক ছোনগাছা ইউনিয়ন বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতা আব্দুল কাদের, ফারুক আহমেদ, কামরুল ইসলাম, ফয়সাল আহমেদ, মিল্লাত ফরহাদ হোসেন কালুসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মিথ্যাভিত্তহীন বানোয়াট মামলা দায়ের করেন যা বাদী বিবাদীরদের দীর্ঘ সময়ে শুনানীর পর প্রতীয়মান হয়। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলসহ বিএনপির নেতাদের মানক্ষুন্ন, হেয়পতিপন্ন ও হয়রানী করতে ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলার অপচেষ্টায় দলীয় ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন ও দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চক্রটি নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে বলে শালিসকারকদের মধ্যে অশনি সংকেতের আভাস উন্মোচিত হয়।
এ সময় ছোনগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ ইউনিয়ন বিএনপি সহসভাপতি ও ইউপি সদস্য আমির হোসেন, যুব দলের সভাপতি আব্দুল কাদের আবু তাহের ঝন্টুসহ যুবদল ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দল কৃষক দল মলদলসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মি ও স্থানীয় মুরুব্বীরা উপস্থিত ছিলেন। শালিসী বৈঠকে বাদী মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।