শিক্ষকতা একটি মহান পেশা হলেও এই পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন সিরাজগঞ্জের ডাবলু হোসেন। শিক্ষকতার আড়ালে তিনি একাধিক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
ডাবলু হোসেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। তিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে তবলা বাদক হিসেবে শিক্ষকতা করে আসছিলেন। পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে তবলা ও অক্টোপ্যাড বাজানোও শেখাতেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠায় বাংলাদেশ মিউজিসিয়ান ফাউন্ডেশন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা সম্প্রতি তার সদস্যপদ বাতিল করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বাগানবাড়ি মহল্লার এক ছাত্রী সম্প্রতি তার কাছে অক্টোপ্যাড শিখতে যায়। সুযোগ বুঝে ডাবলু হোসেন ছাত্রীটিকে কৌশলে ফুঁসলিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করে।
গত বুধবার রাতে কৌশলে তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে স্ত্রী ও স্থানীয়রা হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলে। পরে স্থানীয়দের দেনদরবারে বিষয়টি গোপনে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, ডাবলু হোসেন এর আগেও একাধিক নারীর সঙ্গে এমন কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রী জানান, ক্লাসের সময় সুযোগ পেলে তিনি কুরুচিকর কথা বলতেন এবং শেখানোর আড়ালে শারীরিকভাবে স্পর্শ করতেন।
এ কারণে অনেক ছাত্রীই তার কাছ থেকে সরে যান।
অভিযুক্ত ডাবলু হোসেন ঘটনাটি স্বীকার করে অনুতপ্ত হওয়ার কথা জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ মিউজিসিয়ান ফাউন্ডেশন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক সঞ্জীব সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ডাবলু হোসেনকে সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা কালচারাল অফিসারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।