বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার আসামি সাবেক মেয়র তাপসের সহযোগী মোস্তাফিজুর রহমান টুটু(৫৩)‘কে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
জসীম উদ্দিন খান জানান, ধানমন্ডি থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ বিভাগ।
তিনি জানান, ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ ইউনিটের একটি আভিযানিক দল গতকাল দিবাগত রাতে অভিযান পরিচালনা করে বাড্ডা থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ছাত্র জনতার উপর হামলার কথা স্বীকার করেন। সাবেক মেয়র তাপসের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত এবং আন্দোলন দমন কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন।
জসীম উদ্দিন বলেন, মামলাটি তদন্তকালে জানা যায় গ্রেফতারকৃত আসামী মোস্তাফিজুর রহমান টুটু ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসের বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিতত হয়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং তিনি মামলার ভিকটিম আব্দুল্লা সিদ্দিক হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত বলে তথ্য প্রমান পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন প্রক্রিয়াধীন।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, মামলার ভুক্তভুগী আব্দুল্লা সিদ্দিক এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে। আন্দোলনকারী ছাত্র জনতা আব্দুল্লা সিদ্দিককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরবর্তীতে আওয়ামীপন্থি সন্ত্রাসীরা ভিকটিমের মৃত দেহ গুম করার চেষ্টা করে। ভিকটিমের উল্লেখিত হত্যাকান্ড ও মৃত দেহ গুম করার চেষ্টার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক ফাইয়াজ আহমেদ রাতুল বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে লিখিতভাবে অভিযোগ করলে আদালতের আদেশে ধানমন্ডি থানায় মামলাটি রুজু হয়।
আগে গত ১৫ মে সাবেক মেয়র তাপসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এস এম কামাল হায়দার ও ১৭ জুন মো. খোরশেদ আলম (৪৮)–কে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জানা যায় যে, তাপসের সহযোগী হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান টুটু বেশ প্রভাবশালী ও ক্ষমতাশীল ছিলেন। মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাপর অভিযুক্তদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করার স্বার্থে সিআইডি ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ বিভাগ তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলেও জানানো হয়।