বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন

শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে ট্রমা

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা / ৮ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫২ অপরাহ্ন



ট্রমা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ মো জহির উদ্দিন। তিনি বলেন, ট্রমা হলো একটি মানসিক আঘাত যা কোনো ভীতিকর, চাপ সৃষ্টিকারী বা যন্ত্রণাদায়ক ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার কারনে ঘটে। এই ঘটনাগুলি মোকাবেলা করা কঠিন হতে পারে এবং ব্যক্তির মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। ট্রমা শারীরিক আঘাত, যৌন নিপীড়ন, অন্য কোনো জীবন হুমকিপূর্ণ ঘটনার হতে পারে। এটি একটি ঘটনা বা দীর্ঘস্থায়ী পরিস্থিতি হতে পারে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ২ টায় রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সভাকক্ষে আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসারত ক্লায়েন্টের অভিভাবকদের সমন্বয়ে আয়োজিত এক পারিবারিক সভায় একথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ট্রমা পরবর্তী মানসিক অসুস্থতা,যা কোনো আঘাতমূলক ঘটনার পর ঘটতে পারে। ট্রমা মানসিক চাপ সৃষ্টি করে এবং এর কারণে ব্যক্তি অস্থিরতা,উদ্বেগ বা বিষণœতা অনুভব করতে পারে। ট্রমা একটি নেতিবাচক ঘটনার কারনে হতে পারে যেমন,গার্হস্থ্য সহিংসতা,ধর্ষণ,প্রাকৃতিক বিপর্যয়,প্রিয়জনের মৃত্যু,গুরুতর অসুস্থতা বা আঘাত,সহিংসতার সাক্ষী।

সভায় এবারের বিষয়বস্তু ছিলো, ‘ট্রমা’। যদিও ট্রমা প্রায়শই একটি আঘাতমূলক ঘটনা দ্বারা সৃষ্ট হয়, এটি সর্বা এর সাথে যুক্ত হয় না। কখনও কখনও এর থেকে প্রত্যক্ষণ করার পরে একজনের পক্ষে ধাক্কা সহ্য করাও সম্ভব। ছোট বাচ্চারা বিশেষ করে এই অবস্থার জন্য বেশী ঝুকিপূর্ণ এবং একটি আঘাতমূলক ঘটনা ঘটার পরে তাদের অবশ্যই মানসিকভাবে পরীক্ষা করা উচিত। এটি শিশুর মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।

আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ট্রমাটিক ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থায় প্রাথমিক পরিচর্যা, হাসপাতালের চিকিৎসা এবং দীর্ঘমেয়াদী মানসিক স্বাস্থ্য পরিসেবা যার মধ্যে কথা বলার থেরাপি (যেমন জ্ঞানীয় আচরণগত থেরাপি) প্রয়োজনে ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করে থাকে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সিনিয়র সাইক্লোজিস্ট রাখী গাঙ্গুলী, আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের কাউন্সেলর মাহমুদা আলম, সুমাইয়া তিথি এবং তাহমিনা আক্তারসহ কেন্দ্রে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও চিকিৎসারতদের অভিভাবকবৃন্দ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir