সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
জামায়াত ভোটের জন্য ধর্ম বিক্রি করছে- টুকু শাহজালালে হারানো ২০ লাখ টাকা ফেরত পেলেন যাত্রী শাহজালালে এভসেকের অভিযানে জব্দ প্রায় ৩ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য বিজয় দিবসের নিরাপত্তায় র‍্যাব, প্রস্তুত ডগ ও বোম্ব স্কোয়াড ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার এনইআইআর চালুর তারিখ পেছাল এমপি প্রার্থী ও রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স নীতিমালা জারি হাদিকে গুলি: সীমান্তে মানুষ পারাপারে সহায়তাকারী ফিলিপের দুই সহযোগী আটক প্রেমিকের চা খাওয়ার ফাঁকে প্রেমিকাকে নিয়ে চলে গেল প্রাইভেট কার, অতঃপর বিজয় দিবসে বঙ্গভবনের আশপাশের সড়ক পরিহারের অনুরোধ ডিএমপির
নোটিশ:
তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয় নিবন্ধনকৃত অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য পিপলস্ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকে সারা দেশে জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে। মোবাইল: ০১৭১১-১১৬২৫৭, ০১৭১২-৪০৭২৮২ ' ই-মেইল : thepeopelesnews24@gmail.com

একা দাঁড়িয়ে ৪০ মিটার ব্রিজ, নেই এপ্রোচ সড়ক

নেত্রকোনা প্রতিনিধি : / ৩৬ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কে-গাতি ইউনিয়নে নির্মিত ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ব্রিজ সড়ক সংযোগ ছাড়া একা দাঁড়িয়ে আছে দীর্ঘ চার বছর ধরে।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কে-গাতি ইউনিয়নে নির্মিত ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ব্রিজ সড়ক সংযোগ ছাড়া একা দাঁড়িয়ে আছে দীর্ঘ চার বছর ধরে। সাড়ে তিন কোটি টাকার এ সেতুটি নির্মিত হলেও না হওয়ায় এপ্রোচ সড়ক, এটি কোনো কাজেই আসছে না স্থানীয়দের জন্য।

২০২১ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে কে-গাতি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে কুমারপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কে ব্রিজটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৮০ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ পায় কিশোরগঞ্জের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এস মির্জা কনস্ট্রাকশন-মানুন কনস্ট্রাকশন জেভি (জয়েন্ট ভেঞ্চার)।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ৪০ মিটার পিসি গার্ডার ব্রিজের প্রথম মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দুই দফায় সময় বাড়ানো হয়—সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু এপ্রোচ সড়ক না থাকায় সেতুটি এখনো ব্যবহারযোগ্য হয়নি।

২০২১ সালের ২৩ অক্টোবর সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ আলী খান খসরু সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ১০ আগস্ট। তবে নির্ধারিত সময় পার হলেও কাজ সম্পূর্ণ হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, ব্রিজের নিচ দিয়েই পুরনো খালের ওপরের রাস্তা দিয়ে এখনও মানুষ চলাচল করছে। বর্ষায় সেই পথে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে, আর শুকনো মৌসুমেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন, এটি নকশাবহির্ভূত নির্মাণ; কেউবা দাবি করছেন, জমি রক্ষা ও ঈদগাহ মাঠ টিকিয়ে রাখতে সড়কটি বাইরে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণেও কাজটি আটকে গেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, এটি এমআরআইডিপি প্রকল্পের আওতাধীন কাজ ছিল। অবকাঠামো নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে প্রকল্পে এপ্রোচ সড়ক অন্তর্ভুক্ত ছিল না। স্থানীয়রা প্রথমে জমি দিতে রাজি হলেও পরে দেননি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর