মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২১ অপরাহ্ন
নোটিশ:
তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয় নিবন্ধনকৃত অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য পিপলস্ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকে সারা দেশে জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে। মোবাইল: ০১৭১১-১১৬২৫৭, ০১৭১২-৪০৭২৮২ ' ই-মেইল : thepeopelesnews24@gmail.com

গাজার ‘অস্তিত্ব’ হুমকির মুখে, জাতিসংঘের সতর্কতা

অনলাইন ডেস্ক: / ৪১ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলের হামলা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে এবং এর অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে বলে মঙ্গলবার জাতিসংঘ সতর্ক করেছে। তারা অবিলম্বে বড় পরিসরে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে।

জেনেভা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনসিটিএডি) নতুন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনে ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি খরচ হবে এবং এতে কয়েক দশক সময় লাগতে পারে।

তারা সতর্ক করেছে, যুদ্ধ ও বিধি-নিষেধ ফিলিস্তিনি অর্থনীতিতে ‘নজিরবিহীন পতন’ ডেকে এনেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান খাদ্য, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যসেবাসহ প্রতিটি বেঁচে থাকার স্তম্ভকে দুর্বল করে দিয়েছে এবং গাজাকে মানবসৃষ্ট অতল গহ্বরে ঠেলে দিয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, একটানা পদ্ধতিগত ধ্বংস গাজা আবার বাসযোগ্য স্থান ও সমাজ হিসেবে পুনর্গঠিত হতে পারবে কি না সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ধ্বংসযজ্ঞ ‘অর্থনৈতিক, মানবিক, পরিবেশগত ও সামাজিক ক্ষেত্রে ধারাবাহিক সংকট উন্মোচন করেছে, যা গাজাকে উন্নয়ন থেকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে’।

এতে আরো বলা হয়েছে, যদি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক সাহায্য আসে, তবুও গাজাকে ২০২৩ সালের অক্টোবরের আগের অবস্থায় ফেরাতে কয়েক দশক সময় লাগবে।

ইউএনসিটিএডি একটি ‘সমন্বিত পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা’র আহ্বান জানিয়েছে, যেখানে ‘সমন্বিত আন্তর্জাতিক সহায়তা, আর্থিক স্থানান্তর পুনঃস্থাপন এবং বাণিজ্য, চলাচল ও বিনিয়োগের ওপর বিধি-নিষেধ শিথিল করার পদক্ষেপ’ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

গাজার জনগোষ্ঠী যখন ‘চরম ও বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের’ মুখোমুখি, তখন জাতিসংঘের এ সংস্থা সবার জন্য জরুরি মৌলিক আয় প্রবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে, যা প্রত্যেককে নবায়নযোগ্য ও নিঃশর্ত মাসিক নগদ অর্থ স্থানান্তর প্রদানের সুযোগ দেবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহিংসতা, দ্রুত সম্প্রসারিত বসতি স্থাপন এবং শ্রমিক চলাচলে বিধি-নিষেধ পশ্চিম তীরের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর