সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০১:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সিরাজগঞ্জে শিশু কন্যাকে হত্যার পর বস্তাবন্দী করে পালাল সৎমা শিগগিরই ‘শক্তিশালী আন্দোলন’ শুরু হবে: নাহিদ টঙ্গীতে মোবাইল ছিনতাই করতে গিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক মাহফুজকে হত্যা পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা; আনসার সদস্যদের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ সত্য নয়: আনসার ডিজি আবারও সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলো ডিএমপি সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ল চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ধরতে চিরুনি অভিযান শুরু হতে পারে:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কুড়িগ্রামকে মাদকমুক্ত করতে অভিযান চলবে-জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা  টাঙ্গাইলে ঘাটাইলের জোরদিগিতে মসজিদের নামে জমি দান করায় দানকারীর বিরুদ্ধে ৬টি মিথ্যা মামলা  বিএনপির বিরুদ্ধে  ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে  কাজিপুরে বিক্ষোভ মিশিল  

গণতন্ত্রের সুরক্ষায় সাংবাদিকদের রাজনীতি,চাকরীজিবীদের রাজনীতি ও সাংবাদিকতা এবং জনপ্রতিনিধিদের মিডিয়া ডিগলারেশন নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন

এম.এ.জলিল রানা,জয়পুরহাট: / ১৪৮ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:৫৩ অপরাহ্ন

৭১-রে যে লক্ষ ও উদ্দেশ্য কে সফলতায় পর্যবশিত করার লক্ষ্যে সু-দীর্ঘ নয় মাস আপোশহীন লড়াই আর সংগ্রামের বিভিশীখাময় রক্তেভীজা পথ-সীমাহীন নিষ্ঠুর আঘাতে ক্ষত বিক্ষত বুক-অগণীত আত্বাহুতি আর এদেশের সম্মানিত মা-বোনের কমল দেহে হায়নাদের বর্বরচিত পাশবিক নির্যাতনের বিনিময়ে যে,লাল-সবুজের পতাকা,এবং সুনিদৃষ্ট একটি ভূখণ্ড আমরা পেয়েছি এর নাম স্বধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

এই স্বধীন দেশের ভূখণ্ড-পবিত্র রাখার পুর্ব শর্ত হলো গণতন্ত্রকে সু-প্রতিষ্ঠিত করা।সেই লক্ষ্যে দেশের অভ্যন্তরে বসবাসরত জনসাধারনের সামগ্রীক কল্যাণ সু-শৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন শ্রেণী পর্যায়ে নিয়োজিত আছে লোকবল কাঠামো যাদেরকে বলা হয প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী।তাদের উপর অর্পিত দায়ীত্ব,সঠিক কর্মপরিকল্পনা যথা যথ বাস্তবায়ীত হচ্ছে কিনা? তা দেখভাল, জবাবদেহিতা,ওয়াকিফহাল এবং নতুন নতুন কর্মপরিকল্পনা প্রনয়নের জন্য গণতান্ত্রীক প্রক্রিয়ায় প্রতি ৫ বছর পর পর জাতীয় নির্বাচনের মধ্যদিয়ে নির্বাচিত হয়ে যে সমম্ত জনপ্রতিনিধিরা সংসদে আসেন এরা দেশের সর্বোচ্চ জনপ্রতিনিধি।তারা সংসদ এবং মন্ত্রী পরিষদকে ঢেলে সাজান।প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে থেকে শুরু করে দেশব্যাপী খেটে খাওয়া সাধারন মানুষের দোর গোঁড়ায় কাঙ্খিত নাগরীক সেবা পৌছানোর লক্ষ্যেও প্রস্তুত করা হয় স্থানীয় সরকারের একাধিক স্তর-সিটি কর্পোরেশন,জেলা পরিষদ,উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ কে।

এর পর সরকার প্রধান জনগনের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত সহ দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী পরিষদ কে নিয়ে জনপ্রতিনিধিত্বের সর্ব নিম্ন স্তর ইউপি থেকে মহান জাতীয় সংসদ এবং
জনগনের সেবার জন্য নিয়োজিত (জন সেবার জন্য প্রশাসন)উপজেলা প্রশাসন থেকে সচিবালয় পর্যন্ত এর মধ্যে যা কিছু আছে,সব কিছুর দেখভাল,জবাবদেহীতা,নতুন নতুন জনবান্ধব ও গণউন্নয়নমূখী কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন এবং বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পুরোদেশটায় নিয়ন্ত্রন করে থাকেন।

এ সব করতে গিয়ে অনেক সময়ই সরকার প্রধান,সরকারের মন্ত্রী পরিষদ এবং সাংসদসহ বিভিন্ন শ্রেণী পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিগনরা দেশ জাতীর কল্যাণের নামে জেনে বুঝে অথবা না জেনে ভূল করে ভূল সিদ্ধান্ত নেয়, নেয়ার চেষ্টা করে আবার কখনও কখনও জনগনের সম্পদ,রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাট করে কালো টাকার পাহার গড়ে,নিজেদের আখের গোছাতে বহুমাত্রিক অন্যায় অপরাধ আর দূর্ণীতিতে তারা সাঁতার কাটে।গণতন্ত্র তখন আর সঠিক জায়গায় থাকেনা ফলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী হয়।পরিস্থিতি শান্ত করতে সরকার আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এবং আমলাদের ব্যাবহার করেন। জনপ্রতিনিধিদের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারাও আদা জ্বল খেয়ে লেগে পড়ে এ দুয়ে মিলে দেশ দূর্ণীতির মহাৎসবে পরিনত হয়।তখন দেশের কবি-সাহিত্যিক,লেখক,সাংবাদিক-কলামিষ্ট,বুদ্ধিজীবি সহ দেশের বিবিন্ন সেচ্ছাসেবি সংগঠনগুলো এ সব অন্যায়,অনিয়ম,দূর্ণীতি বা বহুমাত্রিক অপরাধের বিরুদ্ধে গঠনমূলক সমালোচনা-টক-শো-মানবন্ধন,র‌্যালী-প্রতিবাদ সভা ইত্যাদীর মাধ্যমে সরকার কে সংশোধন হওয়ার পথ দেখায়-বিভিন্ন রকম দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।

সে সময় দেশের টানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে মরিয়া হয়ে উঠে সচেতন সাংবাদিক মহল।তাইতো দেশের বহুমাত্রিক অপরাধ সহ যে কোন সংকটে,সংকট উত্তরণে ও অপরাধ নির্মূলে খুঁজতে থাকেন অপরাধগুলির সূত্র আর সংকটগুলির কারন।বের করে আনেন সঠিক তথ্য,খবরের পেছনের খবর,সমাধানের লক্ষ্যে লেখনির মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য উপস্থাপন করেন গণমাধ্যমের বিভিন্ন শাখা প্রশাখায়।দেশের সংকটকালে দেশের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে ভূমিকা রাখেন একমাত্র দেশের গণমাধ্যমকর্মী তথা কলম সৈনিকেরা।

ফিরে আসি মূল কথায়,যা গটে চলেছে। যে সময় দেশের স্বার্থে ,জনস্বার্থে ,জাতীয় স্বার্থে এবং গণতন্ত্রের সুরক্ষায় দেশের সচেতন সাংবাদিক মহল,নাগরীক সমাজ,বুদ্ধিজীবি এবং বিভিন্ন সচেতন স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন এক যোগে কাজ করে যাচ্ছে। ঠিক একই সময় এক শ্রেণীর সাংবাদিক যারা রাজনীতির সাথে জড়িত তারা দলের স্বর্থে না কিছু বলতে পারে আর না কিছু লিখতে পারে। দল বা দলের সাধারন নেতা কর্মী,উচ্চ পর্যায়ের এমপি,মন্ত্রী,বা কোন নেতা এমন কি সরকার প্রধানও যদি কোন অনিয়ম বা ভূল করে তবে জি আচ্ছা,জি ঠিক আছে বলে নিজেরাও সুযোগ কাজে লাগিয়ে যে যার মতো করে আখের গোছাতে ব্যস্ত।

অনুরুপভাবে যে সমস্ত চাকরীজীবি রাজনীতি করেন তারা দলের স্বর্থে মূখ খোলেন না বরং দলের উপরের অবস্থা দেখে তারাও নিজেদের ব্যবস্থা করেনেন-তো বটেই পাশা-পাশী অফিসও ফাঁকী দেন ইচ্ছা মতো।
আবার অনেক চাকরীজীবি আছেন যারা সাংবাদিকতা এবং রাজনীতি দুটই করেন ফলে তার দল শত অন্যায়,অপরাধ,আর দূর্ণীতি করলে একদিকে যেমন কিছু বলবেন না তেমনি কিছু লিখবেন না। অন্য দিকে তিনি প্রতিষ্ঠানে বা কর্মস্থল ফাঁকী দিয়ে সাংবাদিকতা করে বেড়াবেন আর বসে বসে সরকারী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন এটা রাষ্ট্রের কোন নীতির মধ্যে পড়ে প্রশ্ন জাতীর কাছে?

সুতরাং,যে দল-ই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকনা কেন? সাংবিধানিকভাবে জনগণ যেহেতু সকল ক্ষমতার উৎস সেহেতু সকল ক্ষেত্রে জনসাধারণের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।এটা নিশ্চিত হলে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।আর অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হলে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারী কে নিরপেক্ষ হতে হবে।সে ক্ষেত্রে প্রজাতন্ত্রের সেবায় নিয়োজিত সকল সরকারী-বে-সরকারী কর্মচারীদের রাজনীতি এবং ঙসাংবাদিকতা আর সাংবাদিকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা অতীব জরুরী বলে আমি মনে করি।

কেননা ক্ষমতার ভেতরে- বাইরে সকল রাজনীতিবিদরাই বলে থাকেন যে,ওনারা যা কিছু করেন তা সবি দেশ জাতীর জন্যই করে থাকেন। পাশা-পাশী চাকরীজীবিরা বলে থাকেন যে,এনারা নাকি জন সেবার জন্যই নিয়োজিত,জন সেবার জন্যই প্রশাসন।বা:খুবি ভালো কথা এখন তাহলে আইন করে এই নিয়ম মানতে-তো করো কোন আপত্তি থাকার কথা নয় তাইনা? প্রশ্ন রাজনীতিবিদদের কাছে।

আর সাংবাদিক মহল যেহেতু বুদ্ধিজীবি,সমাজের দর্পণ এবং রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সেহেতু এ প্রথা চালু হলে তাদেরতো নি:সন্দেহে কোন বালাই-ই নাই
এতটুকুন ছাড়তো তারা অবশ্যই দিবেন তাইনা? প্রশ্ন বুদ্ধিজীবীদের কাছে।

জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে যারা ক্ষমতায় আসেন এদের অনেকের-ই পত্র-পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল আছে যে গুলোও নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।কারন তারা এগুলেকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে থাকেন।সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার না করে মিথ্যা ও ভিত্তিহিন সংবাদ অপপ্রচার করে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরী করেন।

দেশ জাতীর বৃহত্তর স্বর্থে এবং প্রকৃত পক্ষে গণতন্ত্রকে সু-প্রতিষ্ঠিত করতে হলে, আমি মনে করি উল্লেখিত বিষয়গুলিতে সবার এক মত হওয়া খুবি দরকার কি বলেন তাইতো? প্রশ্ন দেশবাসীর কাছে।

লেখক:সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিষ্ট।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir