রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৪ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় কলেরার প্রকোপ: ১৩ লাখ ওরাল ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে

কক্সবাজার প্রতিনিধি : / ৬৯ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী উপজেলা উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং আশপাশের এলাকায় কলেরা রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় শুরু হয়েছে টিকা কার্যক্রম। রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘ওরাল ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম সাইফুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে কলেরার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠীসহ অংশীজনদের সহযোগিতায় বৃহৎ এই ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির, উখিয়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন, টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা, রামুর খুনিয়া পালং ইউনিয়নের ৪ থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ থেকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫১৪ জন রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে খাওয়ানো হবে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন।

যাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৭ জন ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী ৪ লাখ ৭ হাজার ৯৯৭ জন। 

২১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইনে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে এক হাজার ৬০৫টি দলে বিভক্ত হয়ে তিন হাজার ২১০ জন স্বেচ্ছাসেবী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন খাওয়াবেন। পাশাপাশি স্থানীয় বাংলাদেশিদের জন্য ২৭২টি দলের ৭৪৪ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রতিদিন ৩০০ জনকে টিকা দেবেন।

কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. টিটু চন্দ্র শীল জানান, ‘জেলায় এখন পর্যন্ত কলেরা শনাক্ত হওয়া রোগীদের কেউ মারা যায়নি, সবাই সুস্থ আছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ইউভিকল এবং ইউভিকল প্লাস নামের মুখে খাওয়ার এই টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এক বছরের বেশি বয়সী সবাইকে এই টিকা দেওয়া সম্ভব। তবে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে না।

কারো কারো এই টিকা খাওয়ার পর অল্প অল্প বমিভাব, পেটব্যাথা, ডায়রিয়াসহ অন্য সমস্যা হতে পারে, তবে তা দ্রুত সেরে যাবে বলে জানান তিনি।

এর আগে ২০১৭-১৮, ২০১৯ এবং ২০২১ সালে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় সাতটি সফল কলেরা ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়েছে। ২০২৪ সালের জুন থেকে পুনরায় কলেরা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীদের মধ্যে কারো মৃত্যু হয়নি এবং সবাই সুস্থ আছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir