শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
পল্লবীতে ডিএনসিসির পরিত্যক্ত ভবন থেকে ৩টি বিদেশি অস্ত্র-৭৩ রাউন্ড গুলি ও চাপাতি উদ্ধার শরীফ ওসমান হাদি মরদেহ:বিমানবন্দরে ৯ প্লাটুন আনসার মোতায়েন ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ’-২: কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক বগুড়ার শেরপুরে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত: ভোরে মিলল অজ্ঞাত লাশ ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, সতর্ক অবস্থানে পুলিশ-র‌্যাব-সেনা ভৈরব থানা পরিদর্শন করলেন জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন এনসিপি কমিটিতে নিজের নাম দেখে এনায়েতপুরের প্রবীণ বিএনপি নেতার তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ পাকিস্তানে আটকে থাকা পাঁচ শতাধিক আফগানকে নেবে জার্মানি পত্রিকা অফিসে হামলার তীব্র নিন্দা মির্জা ফখরুলের শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
নোটিশ:
তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয় নিবন্ধনকৃত অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য পিপলস্ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকে সারা দেশে জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে। মোবাইল: ০১৭১১-১১৬২৫৭, ০১৭১২-৪০৭২৮২ ' ই-মেইল : thepeopelesnews24@gmail.com

আন্ডারওয়ার্ল্ডের দ্বন্দে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন খুন,২ লাখের বিনিময়ে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় কুত্তা ফারুক-রবিন

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা / ৪৬ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫



রাজধানীর পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুন (৫৫) হত্যায় অংশ নেওয়া দুই শুটারসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেফতার দুই শ্যুটার হলেন— ফারুক ওরফে কুত্তা ফারুক ও রবিন। গ্রেফতার অন্য তিনজন হলেন ইউসুফ, রুবেল ও শামীম।

পুলিশ জানিয়েছে, ফারুক ও রবিন পেশাদার দুই শ্যুটার। তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি পিস্তল, নগদ টাকা (পারিশ্রমিক) ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিবি জানায়, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন রনি। এক সময়ের মুদি দোকানি রনি বর্তমানে কাফরুলের বাসিন্দা ও শীর্ষ সন্ত্রাসী। আন্ডারওয়ার্ল্ডের আলোচিত জুটি ইমন-মামুনের দ্বন্দ্ব নিয়েই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যেই মামুনকে হত্যার নির্দেশ দেন রনি। তিনি নিজেই দুই লাখ টাকা ও অস্ত্র সরবরাহ করেন। বর্তমানে রনি পলাতক; তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মো. শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গত ১০ নভেম্বর ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রবেশপথে দুজন অস্ত্রধারী গুলি চালালে তারিক সাইফ মামুন গুরুতর জখম হন। তাকে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যাকাণ্ডের পর ডিবি ছায়া তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে অপরাধীদের শনাক্ত করা হয়। এরপর সিলেট সদর, নরসিংদী ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।

অভিযানে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে নরসিংদী সদর থানার ভেলানগর এলাকা থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়, যা ফারুক ও রবিনকে রনি হত্যাকাণ্ডের পারিশ্রমিক হিসেবে দিয়েছিলেন।

ডিবি প্রধান আরও জানান, হত্যার পর ফারুক ও রবিন তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি রনির নির্দেশে রেন্ট-এ-কার চালক রুবেলের কাছে দেয়। রুবেল অস্ত্রগুলো পাওয়ার পর রনিকে বিষয়টি ফোনে জানায়। পরবর্তীতে রায়েরবাজারে ইউসুফের বাসা থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।

ইউসুফ ও রুবেল জানায়, হত্যার দিন রুবেল একটি ব্যাগে অস্ত্র ও গুলি ভরে ইউসুফের কাছে রেখে যায়।

ডিবি জানায়, ইমন-মামুনের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। সাম্প্রতিক সময়ে রনি, যিনি ইমনের ঘনিষ্ঠ, মামুনকে হত্যার জন্য একাধিকবার চেষ্টা চালান। ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত ১০ নভেম্বর মামুনের আদালতে হাজিরার দিনেই হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে।

ঘটনার আগের দিন সন্ধ্যায় রনি তার বাসায় রবিনকে ডেকে পরিকল্পনা জানায়। পরদিন সকালে রনি ফোনে রবিনকে জজ কোর্ট এলাকায় যেতে বলে। রবিন শামীমের গাড়িতে সেখানে যায়। একইসঙ্গে ফারুক ও সুমন কামালও সেখানে উপস্থিত হয়।

রনি প্রথমে সুমন ও ফারুককে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির পর রনি সুমনের কাছ থেকে দুটি পিস্তল নিয়ে একটি ফারুক ও অন্যটি রবিনকে দেয়।

কামালের দায়িত্ব ছিল মামুনের গতিবিধি অনুসরণ করা। সে মামুনের অবস্থান জানালে ফারুক ও রবিন উপর্যুপরি গুলি চালিয়ে হত্যার পর পালিয়ে যায়।

এরপর তারা রায়েরবাজারে গিয়ে রুবেলের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়। পরে রনি ২ লাখ টাকা পাঠিয়ে রুবেলের মাধ্যমে ফারুক ও রবিনকে ১ লাখ টাকা করে দেয়।

পরবর্তীতে রনির নির্দেশে রুবেলের সহযোগিতায় ফারুক, রবিন ও শামীমকে সিলেটে পাঠানো হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে রনি তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়।

সিলেটে গিয়ে রবিন ও রুবেল ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে, কিন্তু ব্যর্থ হয়। পরে তারা সাতক্ষীরা সীমান্ত হয়ে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ফেরার পথে ডিবির হাতে গ্রেফতার হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর