ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করায় সাময়িক বহিস্কৃত হয়েছিল সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণসম্পাদক সুলতান মাহমুদ ওরফে কাদের মোল্লা।
প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিশেষ ক্ষমা প্রার্থনা করায় বিগত ৬ মাস আগে বহিস্কৃত প্রত্যাহার করে পুনরায় পাঙ্গাসী ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক পদফিরে পান সুলতান মাহমুদ কাদের মোল্লা। সাধারণ সম্পাদক পদ ফিরে পাওয়ার পর পরই শুরু করেছে কাদের মোল্লার কেরামতি। ২০২১সালে ইউপিনির্বাচনে তৃণমূল নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে যারা মাঠে গর্জন তুলেছিল, সেই নেতাকর্মীদের থানা পুলিশ, পেটুয়া বাহিনী দিয়ে নির্যাতন করতে শুরু করেছেসুলতান মাহমুদ ওরফে কাদের মোল্লা। এমনকি রায়গঞ্জ থানায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাধারণ জিডি, অভিযোগ ও মামলা দিয়েও প্রতিনিয়ত হয়রানি করারঅভিযোগ উঠেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ৪ মাস পূর্বে পাঙ্গাসী ইউনিয়নের গ্রামপাঙ্গাসী ডিগ্রী কলেজ থেকে মনোহরপুর–বোয়ালিয়া পাকাসড়কের নামকফলক মোড়কউন্মোচন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা: আব্দুল আজিজ এমপি। চলতি বছরের ২৭ মে নামফলক মোড়ক এর পেলেট তুলে নিয়ে যায় দৃর্বুত্তরা।নামফলকের পেলেট তোলাকে কেন্দ্র পাঙ্গাসী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ ব্যবহার করে গত ২৯ মে তারিখে রায়গঞ্জ থানায় ২জনআওয়ামীলীগের তৃণমূলকর্মী মারুফ হোসেন টিক্কা ও মানিক মিয়ার নামে একটি সাধারণ ডায়েরী করে।
তৃণমূলকর্মী আওয়ামীলীগ কর্মী এসএম মারুফ হোসেন টিক্কা বলেন, আমি আওয়ামীলীগের একজন তৃণমূলকর্মী। মনোহরপুর–বোয়ালিয়া রাস্তারনামকরণের ফলকের পেলেট উঠিয়ে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে আমার নামে থানায় ডায়েরী করা হয়েছে। সুলতান মাহমুদ ওরফে কাদের আমাকে বলেছে যদি৫০ হাজার টাকা না দিই, তবে আমার নামে থানায় মামলা দেবে।
পাঙ্গাসী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর সাইদ সরকার বলেন, ২০২১সালে ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের বিরোধিতা করার কারণে বাংলাদেশআওয়ামীলীগ তাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কৃত করে। বহিস্কৃত প্রত্যাহার হওয়ার সাথে তদন্ত না করেই নামফলকের পেলেটের উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে ইউপিনির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যক্ষকর্মী মনোহরপুর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে এসএম মারুফ হোসেন ও মানিক মিয়ার নামে রায়গঞ্জ থানায় একটিসাধারণ ডায়েরী করেছে। তৃণমূল আওয়ামীলীগের কর্মীদের নামে সাধারণ ডায়েরী করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
পাঙ্গাসী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, মনোহরপুর গ্রামে রাস্তা নামকরণ নিয়ে মৃত রুস্তম আলী ছেলেদের সাথে মৃতমুনছুর আলী ছেলেদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সেই বিরোধের জের ধরে মৃত রুস্তম আলী ছেলেরা এমপি মহোদয়ের উদ্বোধনী নামফলকের পেলেট তুলে ফেলেছে। তাই রুস্তম আলী ছেলেদের নামে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে। প্রয়োজন হলে মামলা করে জেল হাজতে প্রেরণ করব।
রায়গঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো: রেজাউল করিম বলেন, নামফলকের পেলেট উত্তোলনের বিষয়কে কেন্দ্র করে সুলতান মাহমুদ বাদী হয়ে মনোহরপুরগ্রামের ২জনের নামে সাধারণ ডায়েরী করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কে বা কারা নাম ফলকের পেলেট উঠিয়ে নিয়ে গেছে কেউ বলতেপারছে না। আমি সেই ভাবে ওসি মহোদয়ের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।
রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিন্নাহ আল মাজী বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। আমি ঢাকায় আছি। দুই একদিনের মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়েসিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। তবে এবিষয়ে থানা পুলিশ অবগত হয়েছে সে বিষয়ে আমার জানা নেই।