তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডকে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে
মনোনয়ন বঞ্চিত করার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেছে। তৃণমুল নেতাকর্মীদের দাবী-উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার আব্দুস সামাদ ও সাধারন সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীর পক্ষে সুপারিশ করেছে। এ অবস্থায় দুর্নীতিবাজ ওই দুই নেতাকে দলীয় পদ থেকে অপসারন ও শাস্তির দাবীতে তৃনমুল নেতাকর্মীরা রবিবার বিক্ষোভ সমাবেশ ও দুই নেতার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, মেয়র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম লাবু, সাবেক দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সালাম বিএসসি, পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য মির্জা শামসুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান, সাধারন সম্পাদক ফরহাদ আলী বিদ্যুত, সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ, জাকির হোসেন জুয়েল, সিরাজ সরকার, আব্দুল মমিন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, তাড়াশ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সনজিত কুমার সাধারন সম্পাদক হবার পর থেকেই দলের বিপক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। ইউপি নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা মনোনয়ন বানিজ্য করেছেন। দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন। টাকার বিনিময়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের পদ বিক্রি করেছেন। একজন সাইকেল মেকার থেকে আওয়ামীলীগ নেতা হয়ে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তাড়াশ পৌরসভার প্রথম মেয়র নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির সাথে যোগসাজন করে অযোগ্য প্রার্থীকে সুপারিশ করে মনোনয়ন পাইয়ে দিয়েছেন। তার কারনেই তাড়াশে নৌকার ভরাডুবি হবে।
বক্তরা অবিলম্বে উপজেলা আও য়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের পদত্যাগ ও দলীয় পদ থেকে অপসারন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ জুলাই তাড়াশ পৌরসভার প্রথম নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী ছিলেন ১৫ জন। এর মধ্যে দলীয়ভাবে আব্দুর রাজ্জাক নামে এক আওয়ামীলীগ নেতাকে মনোনয়ন দেয়া হয়।