রংপুর প্রতিনিধিঃ
বিদ্যালয়ে নেই কোন পর্যান্ত খেলার মাঠ। তার উপর শ্রেণী কক্ষ ও শিক্ষক সংকট। বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষের বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।আরেকটি ক্লাস হলেই তারা শ্রেণী কক্ষে প্রবেশের সুযোগ পায়। কারণ মাএ তিন’টি শ্রেণী কক্ষ নিয়ে চলছে, নিয়মিত পাঠদান।এ চিএ রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা শিকারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।ফলে পাঠদান ব্যাহত হওয়াসহ নানা সমস্যায় ভূগছে সরকারী বিদ্যালয়টি।
জাতীয়করণ হলেও সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিদ্যালয়টির শতাধিক শিক্ষার্থী।
সরেজমিনে উপজেলার ময়েনপুর ইউনিয়নের শিকারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গিয়ে জানা গেছে বিদ্যালয়টি ১৯৮৮ সালে স্হাপিত হয়। বর্তমান ঐ শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানে সব ক্লাস মিলে ২২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক রয়েছে ৫ জন। প্রয়োজনীয় শিক্ষক থাকলেও শ্রেণিকক্ষ সংকটে ভুগছে বিদ্যালয়টি। বর্তমানে মাত্র ৩টি রুম রয়েছে। এই তিনটি রুমে কোনরকমে চলছে পাঠদান কার্যক্রম।
স্থানীয় অভিভাবকরা জানান, মিঠাপুকুরের অনেক জায়গায় নতুন নতুন বিল্ডিং হয়েছে। কিন্তু আমাদের এখানে প্রয়োজন হলেও বিল্ডিং হচ্ছে না। শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকায় আমাদের কোমলমতী ছেলেমেয়েরা অনেক কষ্ট করছে। আমরা এই সমস্যার সমাধান চাই।
বিদ্যালয়ের সভাপতি শয়ন মন্ডল বলেন, আমরা পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাইনা এ জন্য ইচ্ছে থাকলেও বিদ্যালয়ের উন্নয়ন করা সম্ভব হয় না। সীমানা বাউন্ডারিসহ একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা খুবই জরুরি।
প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ বলেন, শ্রেণি কক্ষ সংকটের কারণে আমাদের একসাথে সবগুলো ক্লাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষের চরম সংকট চলছে। এ বিষয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেও কোন সুফল মিলছে না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আক্তারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আবেদন করেছে কিনা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্হা নেওয়া হবে।