জাপানি শিক্ষক ও শিক্ষাবিদদের একটি দল বাংলাদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এসব প্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধা পরিদর্শন করেছেন। প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে তারা শিক্ষা খাত ও সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেন, যার মাধ্যমে একটি উন্নয়নশীল দেশে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিস্তৃত ক্ষেত্র বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।
বাংলাদেশে সরাসরি প্রশিক্ষণ থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান কাজে লাগিয়ে তারা পাঠ্যবস্তু ও শিক্ষাসামগ্রী তৈরি করবেন, যা জাপানে তাদের নিজ নিজ স্কুলে প্রয়োগ করবেন এবং কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করবেন। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) গত ৫ থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে ‘ওভারসিজ ট্রেনিং ফর টিচার্স’ আয়োজন করে।
জাপানি শিক্ষকরা যেসব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন তার মধ্যে রয়েছে সরকারি স্কুল, আন্তর্জাতিক স্কুল, এনজিও পরিচালিত স্কুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং কুমন।
বাংলাদেশের আন্তরিকতা ও আতিথেয়তায় তারা মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এক শিক্ষক বলেন, “এই অভিজ্ঞতা আমাদের সত্যিই অনুপ্রাণিত করেছে, এবং আমরা আশা করি শ্রেণিকক্ষের জন্য এমন কিছু পরিকল্পনা করতে পারব, যা জাপানের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতি কৃতজ্ঞ হতে শেখাবে এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিস্তৃত করবে।” তাদের মধ্যে কেউ কেউ শিক্ষা ও বিনিময় কর্মসূচির মাধ্যমে জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
৪০ বছর আগে চালু হওয়া ওভারসিজ ট্রেনিং ফর টিচার্স একটি বছরব্যাপী কর্মসূচি, যা উন্নয়ন শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক বোঝাপড়ায় আগ্রহী জাপানি শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য। এর মধ্যে রয়েছে জাপানে প্রস্থানের আগে প্রশিক্ষণ, উন্নয়নশীল দেশে ১-২ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ এবং জাপানে ফেরার পর পুনঃপ্রশিক্ষণ।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে জাইকা উন্নয়ন শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক বোঝাপড়ায় শিক্ষককে অন্যতম মূল ভূমিকা পালনকারী হিসেবে এগিয়ে নিচ্ছে। বৈশ্বিক বাস্তবতার সাথে শ্রেণিকক্ষের চর্চাকে যুক্ত করে জাপানের নতুন প্রজন্মকে বিশ্ব-সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই এর উদ্দেশ্য