বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেকমন্ত্রী ইকবাল হাসানা মাহমুদ টুকু বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর স্বাধীনতা বিরাধী শক্তি মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আজেবাজে কথা বলছে। মুক্তিযোদ্ধাকে বিতর্ক করছে। আগামী নির্বাচনে স্বাধীনতাকামী মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত শক্তিদের উচিত জবাব দিবে। মঙ্গলবার বিকেলে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপি আয়োজিত বিজয় র্যালীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২৬ মার্চ পাকিস্তানী বাহিনী আমাদের উপর আক্রমন করে পাকিস্তানীদের মৃত্যু ঘটিয়েছিল। জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশের। সেই বাংলাদেশ বিজয় লাভ করেছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু স্বাধীনতার সময়ে আল শামস, আল বদর বাহিনী গঠন করে বুদ্ধিজীবিদের হত্যাকারী, মা-বোনদের ইজ্জত লুন্ঠনকারী পরাজিত শক্তি স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আজ বাংলাদেশে নতুন নতুন বয়ান নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হচ্ছে। তাদের প্রতিহত করার দায়িত্ব্ বিএনপির। বিএনপির জন্ম দিয়েছিল একজন মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি বলেন, আমি ফেসবুকে দেখেছি এখনও তারা বলছে পুর্ব পাকিস্তান জিন্দাবাদ। এখনো যারা পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখেন, তারা ভুলে যান বাঙ্গালীর সন্তান মরে যায় নাই। তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ অপকর্ম করেছে বলে কেউ মুক্তিযোদ্ধাকে খাটো করার চেষ্টা করবে। সেটা হতে দেয়া হবে না। মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামীলীগদের বাপের দলের ছিল না। মুক্তিযোদ্ধা ছিল জনগনের। মুক্তিযোদ্ধা ছিল জনতার যুদ্ধ। সেখানে কৃষক ছিল, শ্রমিক ছিল, কামার ছিল, কুমার ছিল ও সাধারন মানুষ ছিল। সাধারন মানুষের এই যুদ্ধ নিয়ে যারা কটাক্ষ করে তাদের উচিত জবাব দেয়া হবে। তিনি বলেন, লক্ষ শহীদের রক্ত ও লক্ষ মায়ের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে নিয়ে কোন কম্পোমাইজ চলবে না।
তিনি বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদ হাসিনাকে সরিয়েছি। কিন্তু তার চেয়ে বড় শত্রুর উত্থান হয়েছে। তাই যুবক-তরুনদের জেগে থাকতে, পাহারা দিতে হবে। স্বাধীণতা বিরোধী শক্তিকে চিরতরে নির্মূল করে স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে।
র্যালীতে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আজিজুর রহমান দুলাল, সহ-সভাপতি ভিপি অমর কৃষ্ণ দাস, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নুর কায়েম সবুজ, ভিপি শামীম খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইটসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করেন। পরে ইসলামিয়া কলেজ মাঠ থেকে বিজয় র্যালী বের হয়ে শহর প্রদক্ষিন শেষে বাজার ষ্টেশনে শেষ হয়।