সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রীর মৃত্যু জামায়াত ভোটের জন্য ধর্ম বিক্রি করছে- টুকু শাহজালালে হারানো ২০ লাখ টাকা ফেরত পেলেন যাত্রী শাহজালালে এভসেকের অভিযানে জব্দ প্রায় ৩ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য বিজয় দিবসের নিরাপত্তায় র‍্যাব, প্রস্তুত ডগ ও বোম্ব স্কোয়াড ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার এনইআইআর চালুর তারিখ পেছাল এমপি প্রার্থী ও রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স নীতিমালা জারি হাদিকে গুলি: সীমান্তে মানুষ পারাপারে সহায়তাকারী ফিলিপের দুই সহযোগী আটক প্রেমিকের চা খাওয়ার ফাঁকে প্রেমিকাকে নিয়ে চলে গেল প্রাইভেট কার, অতঃপর
নোটিশ:
তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয় নিবন্ধনকৃত অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য পিপলস্ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকে সারা দেশে জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে। মোবাইল: ০১৭১১-১১৬২৫৭, ০১৭১২-৪০৭২৮২ ' ই-মেইল : thepeopelesnews24@gmail.com

ভূমিকম্পে তুলনামূলক নিরাপদ ঢাকার কোন এলাকাগুলো

অনলাইন ডেস্ক: / ৪২ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : শনিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৫

টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে ৬.৯ মাত্রার সম্ভাব্য ভূমিকম্প হলে ঢাকার প্রায় ৪০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে এবং দুই লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে—রাজউকের সাম্প্রতিক মূল্যায়নে উঠে এসেছে এমনই ভয়াবহ আশঙ্কা। এই তথ্য প্রকাশের পর রাজধানীবাসীর মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন এখন—ঢাকার কোথাও কি নিরাপদ এলাকা রয়েছে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার ভূতাত্ত্বিক গঠন কিছুটা সহনীয় হলেও অনিয়ন্ত্রিত ভবন নির্মাণ, জলাশয় ভরাট ও জনসংখ্যার ঘনত্ব শহরটিকে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। কোনো এলাকা কতটা নিরাপদ তা নির্ভর করছে মূলত দুই বিষয়ের ওপর—এলাকার মাটির গঠন ও অবকাঠামোগত মান।

ভূতত্ত্ববিদ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার জানান, ঢাকার উত্তর ও কিছু মধ্যাঞ্চলে মধুপুরের লাল মাটি রয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে শক্ত। রমনা, মগবাজার, নিউমার্কেট, লালমাটিয়া, খিলগাঁও, মতিঝিল, ধানমন্ডি, লালবাগ, মিরপুর, গুলশান ও তেজগাঁওসহ এসব লাল মাটির এলাকা ভূতাত্ত্বিকভাবে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বিবেচিত হতে পারে।

তবে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী মনে করেন, শুধুমাত্র মাটির ধরন দিয়ে ঝুঁকি নির্ধারণ করা যায় না। তার মতে, ভবনগুলোর মান পরীক্ষা না করা হলে কোনো এলাকাকে নিশ্চিতভাবে নিরাপদ ঘোষণা করা সম্ভব নয়।

জলাশয় ভরাট করে তৈরি হওয়া আফতাবনগরসহ অনুরূপ এলাকাগুলোর নিরাপত্তা নির্ভর করছে মাটি শক্ত করার যথাযথ প্রক্রিয়া—‘গ্রাউন্ড ইম্প্রুভমেন্ট টেকনিক’—সঠিকভাবে প্রয়োগের ওপর। এসব এলাকায় সঠিকভাবে মাটি শক্ত না করলে ভূমিকম্পের সময় ভবন অস্বাভাবিকভাবে দুলে ধসে পড়তে পারে।

আনসারী উদাহরণ টেনে বলেন, মাটি প্রস্তুতির ঘাটতির কারণেই মেক্সিকোর সান হুয়ানিকো শহরে ১৯৮৫ সালে এক ভূমিকম্পে ৭০ শতাংশ ভবন ধসে পড়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, ঢাকার মতো নরম মাটির শহরে শুধু পাইলিং করলেই নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না; মাটিকেও পর্যাপ্তভাবে শক্ত করতে হয়। অন্যথায় দূরের ভূমিকম্পের প্রভাবেও মাটি ও ভবনের দ্বৈত কম্পন বড় ধসের কারণ হতে পারে।

সব মিলিয়ে, ঢাকার কয়েকটি এলাকায় ভূতাত্ত্বিক সুবিধা থাকলেও ভবনের গুণগত মান ও সঠিক নির্মাণই হচ্ছে নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় নির্ণায়ক। ভবন যাচাই, নিয়ম মেনে নির্মাণ এবং মাটি প্রস্তুত না হলে রাজধানীর কোনো এলাকাকেই সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ বলা যাচ্ছে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর