বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বিরইল দক্ষিণপাড়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন কাওসার সরকার (২২), সুলতান সরকার (৪২), আলতাব সরকার (৬৫) ও শামীম সরকার (৩১)। অন্যপক্ষের সোবাহান (৪৫), সোলাইমন (৪০), মামুন সরকার (২৫) ও ফুয়ারা বেগম (৩৫)। আহতরা সকলেই বিরইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে আলতাফ সরকার ওই গ্রামের একটি পুকুরে মাছ ধরতে যান। এসময় পুকুরের দাবিদার সোবাহান বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা দেশীয় অস্ত্রসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়।
কাওসার সরকার দাবি করেন, আমাদের লিজ নেওয়া জমি ও পুকুরে মাছ ধরতে গেলে প্রতিপক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের চারজন গুরুতর আহত হয়েছে।
অন্যদিকে সোবাহান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত ৫২ বছর ধরে আমরা আমাদের দলিলকৃত সম্পত্তি ভোগদখল করছি। কিছুদিন আগে তারা একটি ভুয়া দলিল তৈরি করে মালিকানা দাবি করলে আমরা আদালতের আশ্রয় নেই। মামলার রায় আমাদের পক্ষে আসা সত্ত্বেও তারা জোরপূর্বক মাছ আত্মসাৎ করতে আসে। আমরা বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইব্রাহীম আলী জানান, ঘটনাটি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। এলাকায় বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।