বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
নোটিশ:
তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয় নিবন্ধনকৃত অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য পিপলস্ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকে সারা দেশে জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে। মোবাইল: ০১৭১১-১১৬২৫৭, ০১৭১২-৪০৭২৮২ ' ই-মেইল : thepeopelesnews24@gmail.com

হত্যার পর দুবাইয়ে পলায়ন, দেশে ফিরতেই বিমানবন্দরে গ্রেফতার আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ২ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫



নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সংঘটিত আলোচিত এক হত্যা মামলায় পলাতক থাকা এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দুবাই পালিয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা ওই আসামি দেশে ফেরার পর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় গ্রেফতার হন। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল পিবিআই নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতার হওয়া আসামি হলেন বেগমগঞ্জ উপজেলার ২নং গোপালপুর ইউনিয়নের কোটরা মহব্বতপুর গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে মো. আবদুল আহাদ।

পিবিআই নোয়াখালী সূত্র জানায়, বেগমগঞ্জ থানার দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্তে আসামির সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে একাধিকবার অভিযান পরিচালনার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ রাত ১১টা ১৫ মিনিটে ঢাকার বিমানবন্দর থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে ডিএমপির বিমানবন্দর থানা পুলিশ সহায়তা করে।

তদন্তে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মবুল্যাপুর কালভার্টের সামনে পূর্বশত্রুতার জেরে আবদুল আহাদ ও তার সহযোগীরা ভিকটিম আবদুল লতিফ মিন্টুকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে সিএনজি যোগে প্রায় এক কিলোমিটার পশ্চিমে কোটরা মহব্বতপুর এলাকায় নিয়ে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পুনরায় আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিমকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে একই দিন রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় গ্রাম পুলিশ মো. বেলাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনার পর ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ আসামি আবদুল আহাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পালিয়ে যান। প্রায় দুই বছর পর দেশে ফেরার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মূলত দীর্ঘদিন নিরবচ্ছিন্ন তদন্তের মাধ্যমে মামলার অন্যতম সক্রিয় আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন,আদালতে সোপর্দ করার পর তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর