মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
নোটিশ:
তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয় নিবন্ধনকৃত অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য পিপলস্ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকে সারা দেশে জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে। মোবাইল: ০১৭১১-১১৬২৫৭, ০১৭১২-৪০৭২৮২ ' ই-মেইল : thepeopelesnews24@gmail.com

যা নেওয়া হারাম তা দেওয়াও হারাম

অনলাইন ডেস্ক: / ৩৫ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫

ফিকহের একটি গুরুত্বপূর্ণ কায়দা বা নীতি হলো কোনো অন্যায় কাজ বা লেনদেন যদি একজনের জন্য নিষিদ্ধ হয়, তবে অপর পক্ষের জন্যও তা নিষিদ্ধ। ইসলাম শুধু অন্যায়কে নিষেধ করেনি, বরং অন্যায়ে সহযোগিতাকেও পাপ হিসেবে গণ্য করেছে।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা পাপ ও সীমা লঙ্ঘনের কাজে একে অপরকে সহায়তা কোরো না; আল্লাহকে ভয় করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।’

(আল-কুরআন, ৫:২)

যেমন—সুদ নেওয়া যেমন হারাম, তেমনি সুদ দেওয়াও হারাম।

রাসুলুল্লাহ (সা.) সুদখোর, সুদদাতা, সুদলিপিকার ও সাক্ষীদের ওপর অভিশাপ দিয়েছেন এবং বলেছেন : এরা সবাই সমান।
(মুসলিম, আস-সহিহ : ১৫৯৮)

একইভাবে ঘুষ নেওয়া যেমন গুনাহ, ঘুষ দেওয়াও গুনাহ। মদ, জুয়া বা অন্য কোনো হারাম বস্তুর বিক্রেতা যেমন পাপ করে, ক্রেতাও তাতে অংশীদার হয়।

ইসলাম চায় এমন এক অর্থনীতি ও সমাজ, যেখানে ন্যায়, সততা ও হালাল উপার্জন প্রতিষ্ঠিত হয়।

তাই আমাদের উচিত প্রতিটি লেনদেনে এই নীতি মনে রাখা, যা নেওয়া হারাম, তা দেওয়াও হারাম।
ইসলামী ব্যাংকিং এই নীতিকেই বাস্তবায়নের চেষ্টা করে। এখানে সুদভিত্তিক লেনদেনের পরিবর্তে লাভ-ক্ষতির ভাগাভাগি (মুশারাকা, মুদারাবা) ও পণ্যভিত্তিক বাণিজ্যের (মুরাবাহা, ইজারা) মাধ্যমে ন্যায়সংগত আর্থিক সম্পর্ক গড়ে তোলা হয়। ফলে কেউ অন্যায়ভাবে লাভবান হয় না এবং কেউ ক্ষতির দায় থেকে মুক্তও থাকে না।

ইসলামী অর্থব্যবস্থা এই নীতির মাধ্যমে ন্যায়, ভারসাম্য ও পারস্পরিক দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর