গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক বিধবা নারীকে ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য দ্বারা কয়েক দফা নির্যাতনের বিচার দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রোববার সকালে কালিয়াকৈরের সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমীর ৩ নং গেইট এলাকায় এ কর্মসুচী পালন করেন নির্যাতিত বিধবা নারী। প্রায় ঘন্টাব্যাপী কর্মসূচি চলাকালে আনসার ভিডিপি একাডেমীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচারের আশ্বাসের ভিত্তিতে অবস্থান কর্মসুচী তুলে নেন নির্যাতিতা। এসময় ওই বিধবা নারীর সাথে তার বাবা ছিলেন । ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম কুলছুম বেগম। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার ওলুসারা গ্রামের মৃত রাসেল মিয়ার স্তী।
তিনি জানান, আনসার একাডেমীর ২নং গেটের সামনে একতা টাওয়ারে তিনি সহ তার নিকট স্বজনরা ফ্লাট ক্রয় করেছেন। ২০২৩ সালের ১৪ মে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ওই ভবনে স্বজনদের ফ্লাটের চলমান কাজ দেখতে যান । খবর পেয়ে একই ভবনের বসতি ব্যাটালিয়ন সদস্য শিরিন আক্তার তার অফিসের ডিউটি ফাঁকি দিয়ে কৌশলে পোশাক পড়ে সেখানে ছুটে আসেন। জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার যের ধরে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই কুলসুম বেগমকে কাঠের বাটাম দিয়ে বেদম মারপিট করে তার কাছে থাকা নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় শিরিন।
এসময় ওই নারীর আত্নচিৎকার শুনে ভবনের লোকজন ছুটে এলে ওই ব্যাটালিয়ন সদস্য দ্রুত সেখান থেকে বের হয়ে যায়। আহত বিধবা নারীকে উদ্ধার করে দ্রুত কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে গত ২০২৩ সালের ১৬ মে গাজীপুর-১ আদালতে ওই ব্যাটালিয়ন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা। আদালত গাজীপুর পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন। পিবিআই তদন্তে ঘটনার স্বাক্ষ প্রমান সহ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলাটি এখন বিচারাধীন রয়েছে। চলতি বছরের ৭ ডিসেম্বর বিকেল পৌনে ৩ টার দিকে ওই ফ্লাটের ভাড়া তুলতে আসেন কুলছুম বেগম।
এসম শিরিন আক্তারের ছেলেকে অপহরণ করেছে বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কুলসুম আক্তারকে রাস্তায় আটকিয়ে এলোপাথারী মারধর করে ফ্লাটে আটকে রাখেন । পরে নির্যাতিতা ৯৯৯ নম্বর ফোন দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। মারপিটের পুরো ভিডিও চিত্রসহ এঘটনায় কুলসুম বেগম কালিয়াকৈর থানা এবং আনসার ভিডিপি কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ব্যাটালিয়ন সদস্যর বিরুদ্বে আরো অনেক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। দুই দফা মারপিট এবং নির্যাতনের ন্যায় বিচার চেয়ে ওই নির্যাতিতা রোববার সকাল ১০টার দিকে আনসার একাডেমী ২নং গেটে অবস্থান কর্মসুচী পালন করে । প্রায় ঘন্টা ব্যাপী কর্মসূচি চলাকালে একাডেমীর উর্ধবতন কর্মকর্তা এসে বিচারের আশ্বাস দিয়ে নির্যাতিতাকে একাডেমীর ভিতরে নিয়ে যান। পরে একাডেমীর কর্মকর্তারা ওই ব্যাটালিয়ান সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেবার আশ্বাসের পর বিধবা নারী বাড়ি ফিরে যান। মুঠোফোনে অভিযুক্ত ব্যাটালিয়ন সদস্য শিরিন আক্তারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন ।