সিরাজগঞ্জ-৪ উল্লাপাড়া আসনের মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়ন বিএনপিসহ সকল অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সদর ইউনিয়নে এ বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় পৌর বিএনপির আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক, বাজার বনিক সমিতির সভাপতি উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নিক্স কুমার আমিন, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক আবুল হোসেন বস, মুক্তিযোদ্ধা প্রজম্ন দলের যুগ্ম আহবায়ক ইখতিয়ার উদ্দিন লাভলু ও উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানাসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা বলেন,বিগত ১৬ বছর এম. আকবর আলী মাঠে ছিলেন না। কোন আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেননি। নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের খোঁজ নেয়নি। এ অবস্থায় তাকে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষনা করায় উল্লাপাড়ার তৃনমুল বিএনপির নেতাকর্মীরা হতাশ এবং হতভম্ব। অন্যদিকে আজাদ হোসেন দীর্ঘ ১৬ বছর মাঠে থেকে রাজনীতির নেতৃত্ব দিয়েছেন। আজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ১৬ বছর মামলা হয়েছে ৪১টি মামলা হয়েছে। তিনি বহুবার জেল খেটেছেন। দলের দুঃসময়ে প্রতিটি নেতাকর্মীর পাশে থাকায় জনপ্রিয়তার দিকে তিনিই শীর্ষ অবস্থানে রয়েছেন। এছাড়াও তার বয়স ৯৫ বছরের ঊর্ধ্বে হওয়ায় এম. আকবর আলীকে কয়েকজনের সহযোগিতায় চলাচল করতে হয়। এই শারীরিক অবস্থায় নির্বাচনী বৈতরণী পার করা তার জন্য দুঃসাধ্য ব্যাপার। মনোনীত হওয়ার পর থেকে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে উগ্র আচরণ করছেন। তার গঠনমূলক সমালোচনা করলে দলের নেতাকর্মীদের ভোটের দরকার নাই বলে উদ্ধত্ব আচরণ করেন। এর আগে নির্বাচন করে তিনি জামানত বাজেয়াপ্ত হারিয়েছিলেন।
বক্তারা বলেন, এম. আকবর আলীকে দিয়ে জামাতের হেভিওয়েট প্রার্থী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল রফিকুল আলম খানের সাথে প্রতিদ্বন্ধিতা করানো সম্ভব নয়। আমরা চাই বিগত দিনে দলের সবার পাশে ছিলেন আজাদ হোসেন। তাকেই যেন পুনঃবিবেচনা করে বিএনপি চুড়ান্ত মনোনয়ন দিবেন। তাহলেই আসনটিতে ধানের শীষের বিজয় সম্ভব।