সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
বিজয় দিবসে বঙ্গভবনের আশপাশের সড়ক পরিহারের অনুরোধ ডিএমপির আইজিপির সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ হাদির হত্যাচেষ্টাকারীদের বিচার দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা বিজয় দিবসে রাজধানীতে যান চলাচলে ডিএমপি’র বিশেষ নির্দেশনা বগুড়ার শেরপুরে খেঁজুরের রস পানে ৬ বছরের মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ১২০ গ্রাম হেরোইনসহ কিশোর আটক হাদির হামলাকারীদের পালিয়ে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত না : বিজিবি ইন্দুরকানীতে নিষিদ্ধ শাপলা পাতা মাছ বিক্রির দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা, লক্ষাধিক টাকার মাছ জব্দ ডেমরায় ৪২ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার ,পিকআপ জব্দ
নোটিশ:
তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয় নিবন্ধনকৃত অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য পিপলস্ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকে সারা দেশে জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে। মোবাইল: ০১৭১১-১১৬২৫৭, ০১৭১২-৪০৭২৮২ ' ই-মেইল : thepeopelesnews24@gmail.com

ইহকাল-পরকালের নিরাপত্তায় তাওবার গুরুত্ব

অনলাইন ডেস্ক: / ৩০ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫
-প্রতীকী ছবি।

মহান আল্লাহকে খুশি করার অন্যতম মাধ্যম তাওবা। তাওবার অর্থ হলো আল্লাহর দিকে ফিরে আসা। অর্থাৎ বাহ্যিকভাবে ও অভ্যন্তরীণভাবে আল্লাহ যে কাজ ভালোবাসেন তা পালন করা এবং বাহ্যিকভাবে ও অভ্যন্তরীণভাবে আল্লাহ যে কাজ অপছন্দ করেন তা ত্যাগ করা। তাই তাওবা শুধু গুনাহ ছেড়ে দেওয়ার নাম নয়।

কারণ গুনাহ ত্যাগ করা তাওবার একটি অংশ হলেও তাওবা পূর্ণতা পায় তখনই, যখন বান্দা আল্লাহর পছন্দের কাজগুলোতে আত্মনিয়োগ করে।

পবিত্র কোরআনে তাওবা শব্দটি অনেক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। কখনো ক্ষমা অর্থে; যেমন পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘এটি তোমাদের জন্য তোমাদের সৃষ্টিকর্তার নিকট উত্তম। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের তাওবা কবুল করলেন।
নিশ্চয়ই তিনি তাওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।’
(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ৫৪)

এই আয়াতের উচ্চারণে ‌‘ফাতাবা আলাইকুম’ এর স্থলে মহান আল্লাহ তাওবা ক্ষমা অর্থে ব্যবহার করেছেন।

অন্য আয়াতে আবার এই একই শব্দ ফিরে আসার অর্থেও ব্যবহৃত হয়েছে, মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা করো, খাঁটি তাওবা; আশা করা যায়, তোমাদের রব তোমাদের পাপগুলো মোচন করবেন এবং তোমাদের এমন জান্নাতগুলোতে প্রবেশ করাবেন, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত, নবী ও তার সঙ্গে যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সেদিন আল্লাহ লাঞ্ছিত করবেন না। তাদের আলো তাদের সামনে ও ডানে ধাবিত হবে। তারা বলবে, হে আমাদের রব, আমাদের জন্য আমাদের আলো পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন; নিশ্চয় আপনি সর্ববিষয়ে সর্বক্ষমতাবান।’
(সুরা : তাহরিম, আয়াত : ৮)

আবার এ শব্দটি নিজেকে শুধরে নেওয়ার অর্থেও ব্যবহার করা হয়। যেমন—কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কিন্তু যারা তাওবাহ করে ও সংশোধিত হয় এবং সত্য প্রকাশ করে, বস্তুত আমি তাদের প্রতি ক্ষমা প্রদানকারী, করুণাময়।’

(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৬০)

তাই নিজেকে ইহকালীন ও পরকালীন শাস্তি থেকে বাঁচাতে প্রকৃত তাওবার বিকল্প নেই। খাঁটি মনে অতীতের গুনাহে অনুতপ্ত হয়ে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে সামনের দিনগুলোতে নিজের আমল-আখলাক পরিশুদ্ধ করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

কারণ যারা খাঁটি মনে মহান আল্লাহর কাছে তাওবা করে, মহান আল্লাহ তাদের গুনাহগুলোকে মাফ করে দেন। তাদের পাপকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তবে যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে। পরিণামে আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ৭০)

সুবহানাল্লাহ, মহান আল্লাহ যেমন মানুষের পাপের কারণে ক্রোধান্বিত হন আবার তারা যখন অনুতপ্ত হয়ে ফিরে আসে, তখন খুশিও হন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ তাআলা তাঁর মুমিন বান্দার তাওবার কারণে ওই ব্যক্তির চেয়েও অধিক আনন্দিত হন, যে লোক ছায়া-পানিহীন আশঙ্কাপূর্ণ বিজন মাঠে ঘুমিয়ে পড়ে এবং তার সঙ্গে থাকে খাদ্য, পানীয়সহ একটি সওয়ারি। এরপর ঘুম থেকে সজাগ হয়ে দেখে যে সওয়ারি কোথায় অদৃশ্য হয়ে গেছে। তারপর সে সেটি খুঁজতে খুঁজতে তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ল এবং বলে, আমি আমার পূর্বের জায়গায় গিয়ে চিরনিদ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে মারা যাব। (এ কথা বলে) সে মৃত্যুর জন্য বাহুতে মাথা রাখল। কিছুক্ষণ পর জাগ্রত হয়ে সে দেখল, পানাহারসামগ্রী বহনকারী সওয়ারিটি তার কাছে। (সওয়ারি ও পানাহারসামগ্রী পেয়ে) লোকটি যে পরিমাণ আনন্দিত হয়, মুমিন বান্দার তাওবার কারণে আল্লাহ তার চেয়েও বেশি আনন্দিত হন। (মুসলিম, হাদিস : ৬৮৪৮)

আর আল্লাহ যখন বান্দার ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যায়, তখন তার দুনিয়া ও আখিরাতে কোনো ভয় থাকে না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে (এটা শিক্ষা দেয়) যে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা চাও, আর অনুশোচনা ভরে তাঁর দিকেই ফিরে এসো, তাহলে তিনি একটা নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তোমাদের উত্তম জীবনসামগ্রী ভোগ করতে দেবেন, আর অনুগ্রহ লাভের যোগ্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে তিনি তাঁর অনুগ্রহ দানে ধন্য করবেন। আর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে আমি তোমাদের ওপর বড় এক কঠিন দিনের আজাবের আশঙ্কা করছি। (সুরা : হুদ, আয়াত : ৩)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর