উত্তরাঞ্চলের শস্য ভাণ্ডার খ্যাত সীমান্তের কোলঘেষা ছোট্ট এ জেলার ‘‘কচুর লতি এবং সোনালী মুরগী আজ এই জেলার ব্রান্ডিং । তাইতো বলা হয় , সোনালী মুরগী-লতিরাজ-জয়পুরহাটের গর্ব আজ। এই ব্রান্ডিং পণ্য দুটি জেলার কৃষিখাতকে একদিকে যেমন করেছে সম্প্রসারিত তেমনি অন্যদিকে করেছে সমৃদ্ধ ।
লোগোর বর্ণনাঃ
জয়পুরহাটের ব্রান্ডিং লোগোটি জেলার সমৃদ্ধ কৃষির নিদর্শক । লোগোতে উপস্থাপিত লতিরাজ কচুর লতি এবং সোনালী মুরগীই হলো জেলার দুটি ব্রান্ড পণ্য।
ট্যাগলাইনের বর্ণনাঃ এই ট্যাগলাইনের মাধ্যমে জয়পুরহাট জেলার স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত দু;টি কৃষি পণ্যের সামগ্রিক গুরুত্ব ইতিবাচকভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
সোনালী মুরগী ও জয়পুরহাট:
সোনালী মুরগী, বাংলাদেশের প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের সরকারী হাঁস-মুরগী খামার, জামালগঞ্জ, জয়পুরহাট কর্তৃক উৎপাদিত এবং সম্প্রসারিত এক ধরনের মুরগী । ২০০০ খ্রিস্ট্রাব্দে এ মুরগী উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ শুরু হয় । এ মুরগীর ডিম ও মাংস উভয় উদ্দেশ্যেই লালন পালন করা যায় । এ মুরগী দেখতে প্রায় দেশী জাতের মুরগীর মত, আর মাংস সুস্বাদু এবং এর উৎপাদন খরচ ও কম এবং অপেক্ষাকৃত সাধারণ পরিচর্যার লালন-পালন করা যায় । এ মুরগী তাপ সহিষ্ণু এবং এর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অনেকটাই কম ।
এ জেলায় ৫ হাজারে অধিক সোনালী মুরগীর খামার আছে । এছাড়া বাচ্চা উৎপাদনের জন্য আছে ৩০টি হ্যাচারী । সেখান থেকে প্রতি বছর প্রায় ৪ কোটি বাচ্চা উৎপাদন করা হয়। সোনালী মুরগীর খাদ্য যোগান দেওয়ার জন্য জেলায় রয়েছে ১১ টি খাদ্য উৎপাদন ফিড মিল । এসব মিল হতে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মে:টন রেডি ফিড উৎপাদন হয়।
লতিরাজ ও জয়পুরহাট:
কচুর কিছু প্রজাতি ব্যাপক ভাবে চাষাবাদ হয় গ্রীষ্ম মন্ডলীয় ও অব গ্রীষ্ম মন্ডলীয় অঞ্চলে। কথিত আছে হাওয়াই দ্বীপে প্রাচীন পলিনেশিয়ানরা প্রধান খাদ্য হিসাবে চাষ করার জন্য কচু নিয়ে আসেন । ইহা একটি মূল জাতীয় ফসল। জয়পুরহাট জেলায় আজ থেবে প্রায় ২০-২৫ বছর আগে কিছু কৃষক পানি কচু বা লতিরাজ কচুর চাষাবাদ শুরু করেন ।
বর্তমানে জেলার সদর, পাঁচবিবি ও আক্কেলপুর উপজেলায় রবি ও খরিপ মৌসুম মিলে প্রায় ৭০০ হেক্টর জমিতে লতিরাজ কচুর চাষ হয়ে থাকে । কচু সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও রপ্তানীযোগ্য হওয়ায় খুব সহজে কৃষকের নিকট জনপ্রিয় হয়েছে ।
বারি পানি কচু-(১) ১৯৮৮ সনে লতিরাজ কচু হিসাবে জাতীয় বীজ বোর্ডের সভায় অনুমোদিত হয় । বারি পানি কচু-১ এর লতি ও রাইজম অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর । লতি কচুতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘এ’ ও লৌহ থাকে । তাছাড়া শর্করা, আমিষ ও আঁশ থাকে । দেশের অন্যান্য এলাকায় উৎপাদিত লতির চেয়ে এ জেলার লতির গুনগত মান ভালো এবং বাজারে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশী।
এম.এ.জলিল রানা,জয়পুরহাট: ২৩ ডিসেম্বর-২০২৫। উত্তরাঞ্চলের শস্য ভাণ্ডার খ্যাত সীমান্তের কোলঘেষা ছোট্ট এ জেলার ‘‘কচুর লতি এবং সোনালী মুরগী আজ এই জেলার ব্রান্ডিং । তাইতো বলা হয় , সোনালী মুরগী-লতিরাজ-জয়পুরহাটের গর্ব আজ। এই ব্রান্ডিং পণ্য দুটি জেলার কৃষিখাতকে একদিকে যেমন করেছে সম্প্রসারিত তেমনি অন্যদিকে করেছে সমৃদ্ধ ।
লোগোর বর্ণনাঃ
জয়পুরহাটের ব্রান্ডিং লোগোটি জেলার সমৃদ্ধ কৃষির নিদর্শক । লোগোতে উপস্থাপিত লতিরাজ কচুর লতি এবং সোনালী মুরগীই হলো জেলার দুটি ব্রান্ড পণ্য।
ট্যাগলাইনের বর্ণনাঃ এই ট্যাগলাইনের মাধ্যমে জয়পুরহাট জেলার স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত দু;টি কৃষি পণ্যের সামগ্রিক গুরুত্ব ইতিবাচকভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
সোনালী মুরগী ও জয়পুরহাট:
সোনালী মুরগী, বাংলাদেশের প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের সরকারী হাঁস-মুরগী খামার, জামালগঞ্জ, জয়পুরহাট কর্তৃক উৎপাদিত এবং সম্প্রসারিত এক ধরনের মুরগী । ২০০০ খ্রিস্ট্রাব্দে এ মুরগী উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ শুরু হয় । এ মুরগীর ডিম ও মাংস উভয় উদ্দেশ্যেই লালন পালন করা যায় । এ মুরগী দেখতে প্রায় দেশী জাতের মুরগীর মত, আর মাংস সুস্বাদু এবং এর উৎপাদন খরচ ও কম এবং অপেক্ষাকৃত সাধারণ পরিচর্যার লালন-পালন করা যায় । এ মুরগী তাপ সহিষ্ণু এবং এর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অনেকটাই কম ।
এ জেলায় ৫ হাজারে অধিক সোনালী মুরগীর খামার আছে । এছাড়া বাচ্চা উৎপাদনের জন্য আছে ৩০টি হ্যাচারী । সেখান থেকে প্রতি বছর প্রায় ৪ কোটি বাচ্চা উৎপাদন করা হয়। সোনালী মুরগীর খাদ্য যোগান দেওয়ার জন্য জেলায় রয়েছে ১১ টি খাদ্য উৎপাদন ফিড মিল । এসব মিল হতে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মে:টন রেডি ফিড উৎপাদন হয়।
লতিরাজ ও জয়পুরহাট:
কচুর কিছু প্রজাতি ব্যাপক ভাবে চাষাবাদ হয় গ্রীষ্ম মন্ডলীয় ও অব গ্রীষ্ম মন্ডলীয় অঞ্চলে। কথিত আছে হাওয়াই দ্বীপে প্রাচীন পলিনেশিয়ানরা প্রধান খাদ্য হিসাবে চাষ করার জন্য কচু নিয়ে আসেন । ইহা একটি মূল জাতীয় ফসল। জয়পুরহাট জেলায় আজ থেবে প্রায় ২০-২৫ বছর আগে কিছু কৃষক পানি কচু বা লতিরাজ কচুর চাষাবাদ শুরু করেন ।
বর্তমানে জেলার সদর, পাঁচবিবি ও আক্কেলপুর উপজেলায় রবি ও খরিপ মৌসুম মিলে প্রায় ৭০০ হেক্টর জমিতে লতিরাজ কচুর চাষ হয়ে থাকে । কচু সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও রপ্তানীযোগ্য হওয়ায় খুব সহজে কৃষকের নিকট জনপ্রিয় হয়েছে ।
বারি পানি কচু-(১) ১৯৮৮ সনে লতিরাজ কচু হিসাবে জাতীয় বীজ বোর্ডের সভায় অনুমোদিত হয় । বারি পানি কচু-১ এর লতি ও রাইজম অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর । লতি কচুতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘এ’ ও লৌহ থাকে । তাছাড়া শর্করা, আমিষ ও আঁশ থাকে । দেশের অন্যান্য এলাকায় উৎপাদিত লতির চেয়ে এ জেলার লতির গুনগত মান ভালো এবং বাজারে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশী।