অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, এ পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনটি বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) জারি করা হয়। এতে স্বাক্ষর করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।
এর আগে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে পুলিশ বাহিনীতে খোদা বকশ চৌধুরীকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। অভিযোগ রয়েছে, তার ইশারায় বিএনপিপন্থি কর্মকর্তাদের কোণঠাসা করা হয়েছিল। এছাড়া সাবেক ডিবিপ্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা ছিল বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি।
পুলিশ বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, পুলিশ প্রশাসনের ভেতরে তিনি নিজস্ব একটি বলয় গড়ে তুলেছিলেন।
সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনার পর খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিও জোরালো হয়ে ওঠে। গত ২০ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) খোদা বকশ চৌধুরীকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয় ইনকিলাব মঞ্চ।
১৯৭৯ সালে পুলিশে যোগ দেওয়া খোদা বকশ আইজিপির দায়িত্ব পান ২০০৬ সালের নভেম্বরে; বিএনপি জোট সরকারের শেষ দিকে।
জোট সরকার দায়িত্ব হস্তান্তরের পর রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও তিনি আইজিপির দায়িত্ব পালন করেন।
পরে ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিলে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয় তাকে।
এরপর ২০১০ সালের মার্চে স্বেচ্ছায় অবসরে যান খোদা বকশ।