মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
নোটিশ:
তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয় নিবন্ধনকৃত অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য পিপলস্ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকে সারা দেশে জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে। মোবাইল: ০১৭১১-১১৬২৫৭, ০১৭১২-৪০৭২৮২ ' ই-মেইল : thepeopelesnews24@gmail.com

শীতের “হাতছানি” ব্যস্ততা জয়পুরহাটের লেপ তোষক পল্লীতে

জলিল রানা, জয়পুরহাট প্রতিনিধি : / ৪৬ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

শীতের “হাতছানি” ব্যস্ততায় সময় পার করছে জয়পুরহাটের লেপ তোষক পল্লীর কারিগররা ।যদিও সবে ২৩ অক্টোবর ২০২৫,আর ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,তথাপওি এখনো দিনের বেলা অনেকটা গরম হলেও রাতের শেষান্তে শীতের শীতল পরশ যেন আলতোভাবে ছুঁয়ে যেতে শুরু করেছে। আর তাইতো শীতের আগমনী পদধ্বনির সাথে সাথে জয়পুরহাট জেলার লেপ, তোষক, বালিশ ও জাজিম তৈরির কারিগররা ইতোমধ্যেই অনেকটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দিনে হালকা গরম থাকলেও রাতে ঠান্ডা অনুভূতি বাড়তে থাকায় প্রতিটি পরিবারে এসব শীত নিবারণ সামগ্রীর চাহিদা ও চিন্তায় বেড়ে গেছে ক্রেতাদের দৌড়-ঝাঁপ। ফলে এই সময়ে কারিগররা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন সামগ্রী তৈরি এবং পুরনো জিনিস মেরামত করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করতে শুরু করছেন।
চাহিদা বৃদ্ধি: শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে লেপ, তোষক, বালিশ ও জাজিমের চাহিদা পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকবে।
কারিগরদের ব্যস্ততা: ইতোমধ্যেই জেলার কারিগররা এখন দিনে ও রাতে সমানভাবে কাজ করে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত।
কাজের প্রকারভেদ: তারা শুধু নতুন সামগ্রীই তৈরি করছেন এমনটি নয়, বরং পুরনো লেপ-তোষক ও মেরামত করছেন।
উপকরণ: ক্রেতারা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন মানের কাপড় ও তুলা বেছে নিচ্ছেন।

শীতের পদধ্বনিতে কম  প্রতিটি পরিবারে শীত মোকাবেলায় লেপ তোষকের চাহিদা বেড়ে যায়। দিনে কিছুটা গরম থাকলেও  রাতে ঠান্ডা ভাব পাড়ছে।  এভাবেই আসি আসি করছে শীত। এতেই এ জেলায় লেপ তোষক বানানোর কারিগররা ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন লেপ-তোষক তৈরিতে।

উত্তরাঞ্চলের সীমান্তের কোলঘেষা ছোট্ট জেলা জয়পুরহাট। ছোট্ট জেলা হলেও শীত মৌসুমে এ অঞ্চলে তুলনামূলক শীতের প্রভাব অনেকটাই বেশী থাকে। শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে মূলত লেপ-তোষক বানানোর কাজ শুরু হয় সেপ্টম্বর-অক্টোবর থেকেই। জয়পুরহাট শহরের রেলপট্টিতে গড়ে ওঠা লেপ-তোষক বানানোর পল্লীতে ২২/২৩ জন কারিগর রয়েছেন। যারা মালিকদের লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার অনুযায়ী কাজ করে থাকেন । এতে প্রকার ভেদে প্রতিটি লেপ সেলাই মজুরী ২৫০ থেকে ৪০০-ও তোষক সেলাই মজুরী হিসেবে তারা ৫০০থেকে ৬০০ টাকা। তোষক বানানোর কারিগর রবিউল ইসলাম,রমযান আলী, আলম হোসন, হায়দার আলী, মনু মিয়, মুরাদ হোসেন, সাব্বির হোসেন জানান,সাইজ অনুযায়ী ও প্রকার ভেদে এবার লেপ তোষক বানাতে খরচ পড়ছে এক হাজার ৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। মজুরি, তুলাসহ লেপ তোষক বানানোর কাজে ব্যবহৃত জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ তোষকের দাম গড়ে প্রায় ৫-৭শ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ আলী বেডিং ষ্টোরের মালিক আনিসুর রহমান। বর্তমান বাজারে প্রকারভেদে গার্মেন্টস ঝুট দিয়ে তৈরি সিঙ্গেল তোষক ৭০০ থেকে ১১০০ টাকা এবং ডবল তোষক সাইজ অনুযায়ী ১ হাজার ৯শ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গত বছর শিমুল তুলা ছিল ৪শ টাকা কেজি,এবার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। গার্মেন্টস ঝুট গত বছর  ৮০/৯০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এবার প্রকারভেদে ৯০-১০০শ এবং ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তোষক বিক্রেতা রমযান আলী। এছাড়া অন্যান্য তুলাও প্রতি কেজিতে দাম বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান বিক্রেতারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর