বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় স্ত্রীকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখার তিন দিন পর খালেদা খাতুন (৪০) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মিলনকে আটক করেছে শেরপুর থানা পুলিশ। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে পৌর শহরের উত্তর সাহাপাড়া কালিতলা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিলন একজন চা বিক্রেতা। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি প্রায়ই স্ত্রী খালেদা খাতুনকে মারধর করতেন এবং ঘরের মধ্যে আটকে রাখতেন। গত শনিবার, ২৫ অক্টোবর রাতেও পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে মারধর করেন মিলন এবং তাকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখেন। রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে খালেদা খাতুন বমি করতে শুরু করলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ভোরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় খালেদা খাতুনকে দ্রুত শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর খালেদার মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হলে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বামী মিলন বলেন, গত শনিবার, ২৫ অক্টোবর রাতেও পারিবারিক কলহের জেরে তাকে দুটি চর মেরেছিলাম। এরপর সে সুস্থ্য ছিল। হঠাৎ করে রাত দেড়টার দিকে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ভোরের দিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে। তবে আটক করে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, সে বাড়ি আর ঘরের মধ্যেই সবসময় থাকে তাকে আটকে রাখিনি।
ঘটনার বিষয়ে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মঈনুদ্দিন জানান, মিলন তার স্ত্রী খালেদা খাতুনকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখায় খালেদার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মিলনকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।