সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়নের নিবন্ধিত কাজী রেজাউল করিমের বাল্যবিবাহ পড়ানোর অভিযোগটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিউজটি প্রকাশের পর থেকেই কাজী রেজাউল করিমকে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ ও তদবির করতে দেখা গেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি এখন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয়দের দাবি, এর আগেও একাধিকবার বাল্যবিবাহ পড়ানোর অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন। ২০২২ সালে প্রশাসনিক জেরার মুখোমুখি হওয়ার পরও পুনরায় একই কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, একজন নিবন্ধিত কাজীর দায়িত্ব হলো আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা। কিন্তু অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ে পড়ানো শুধু বেআইনি নয়, এটি সমাজের জন্য ভয়াবহ বার্তা।
জানা গেছে, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিচার বিভাগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিচার বিভাগের জারিকৃত নির্দেশপত্রে বলা হয়েছে— ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে নম্বর: বিচার ৭/২-এন-০৮/৭৫ (অংশ)-২১১ অনুযায়ী বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে কাজির বিরুদ্ধে ক্ষোভের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক সংগঠনসহ সাধারণ মানুষ দাবি করছেন অভিযুক্ত কাজী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ আইনের তোয়াক্কা না করে এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।