বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজশাহীতে যুবদলের শুভেচ্ছা ও বিজয় মিছিল নাগেশ্বরীতে ৩ ইটভাটাকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জরিমানা  রাজশাহী-৬ আসনে মনোনয়নপত্র তুললেন বিএনপি নেতা চাঁদ নৌ পুলিশের অভিযানে সাতদিনে আটক ২৪৬ ফেসবুকে পরিচয়, চ্যাটিং গ্রুপে গার্লফ্রেন্ডের ভিডিও ছড়ালেন প্রেমিক সারা দেশে যৌথ বাহিনীর ৭ দিনের অভিযানে গ্রেফতার ৫১ মাদকনির্ভরশীলদের মাদকমুক্ত রাখতে অভিভাবকদের গুরুত্ব অপরিসীম বাজিতপুর সার্কেল ও বাজিতপুর–সদর থানা পরিদর্শন করলেন জেলা পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল যেন ব্যাহত না হয়: ডিএমপি কমিশনার বাহিনী প্রধানের সঙ্গে জাইকা প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ
নোটিশ:
তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয় নিবন্ধনকৃত অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য পিপলস্ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকে সারা দেশে জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে। মোবাইল: ০১৭১১-১১৬২৫৭, ০১৭১২-৪০৭২৮২ ' ই-মেইল : thepeopelesnews24@gmail.com

দুই সপ্তাহ পর পানযোগ্য পানি মিলবে না তেহরানে

অনলাইন ডেস্ক: / ৪৩ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫
-আমির কবির বাঁধে

তীব্র খরায় বিপর্যস্ত ইরান

তীব্র খরায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইরান। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক যে, আগামী দুই সপ্তাহ পর দেশটির রাজধানী তেহরানে পান করার মতো সুপেয় পানি আর অবশিষ্ট থাকবে না। দেশটির পানি সরবরাহ কর্তৃপক্ষ এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর পাঁচটি প্রধান বাঁধেই পানি ভয়াবহভাবে কমে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমির কবির বাঁধে এখন রয়েছে মাত্র এক কোটি ৪০ লাখ কিউবিক মিটার পানি, যা এর ধারণক্ষমতার মাত্র ৮ শতাংশ।

তেহরান পানি সরবরাহ কোম্পানির পরিচালক বেহজাদ পারসা জানিয়েছেন, এই পানি দিয়ে শহরে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহের মতো পানযোগ্য পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

অন্য চারটি বাঁধের পানির অবস্থা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লার, লাতিয়ান ও মামলু বাঁধে ধারণক্ষমতার মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পানি অবশিষ্ট আছে। আর তালেকান বাঁধেও পানি দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে।

তেহরানে এমন ভয়াবহ খরা কয়েক দশকে দেখা যায়নি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে এক স্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে গত প্রায় ১০০ বছরে ইরানে এত কম বৃষ্টিপাতের নজির নেই।

আলবোর্জ পর্বতমালার দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত এক কোটিরও বেশি মানুষের শহর তেহরানের পানির মূল উৎসই এই পর্বতাঞ্চল থেকে নেমে আসা নদী ও জলাধার। পারসা জানান, এক বছর আগেও আমির কবির বাঁধে ছিল ৮ কোটি ৬০ লাখ কিউবিক মিটার পানি। কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে বৃষ্টিপাত ‘১০০ শতাংশ কমে যাওয়ায়’ পানি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।

ইরানের সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, প্রতিদিন তেহরানের জন্য প্রয়োজন প্রায় ৩০ লাখ কিউবিক মিটার পানি। কিন্তু পানি সংরক্ষণের প্রয়াসে এরই মধ্যে শহরের বহু অঞ্চলে পানি সরবরাহ বারবার বন্ধ রাখতে হচ্ছে। গ্রীষ্মকালজুড়েই এমন বন্ধ রাখার ঘটনা ছিল নিয়মিত।

পানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে গত জুলাই-আগস্টে সপ্তাহে দুই দিন ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। সে সময় তেহরানে তাপমাত্রা ছাড়িয়েছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে তা পৌঁছেছিল ৫০ ডিগ্রিরও বেশিতে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যেও লোডশেডিং ছিল নিত্যদিনের ঘটনা।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সে সময় সতর্ক করে বলেছিলেন, এখন যতটা বলা হচ্ছে, পানির সংকট এর চেয়েও ভয়াবহ।

দেশটিতে পানির ঘাটতির মূল কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে খারাপ ব্যবস্থাপনা ও অতিরিক্ত পানি ব্যবহারকে। সঙ্গে আছে জলবায়ু পরিবর্তনের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব, যা খরাকে আরও তীব্র করে তুলেছে। সূত্র: আল-জাজিরাইরান ইন্টারন্যাশনাল, আইআরএনএ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর