মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ:
তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয় নিবন্ধনকৃত অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য পিপলস্ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকে সারা দেশে জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে। মোবাইল: ০১৭১১-১১৬২৫৭, ০১৭১২-৪০৭২৮২ ' ই-মেইল : thepeopelesnews24@gmail.com

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কড়াকড়ি, সর্বনিম্ন শরণার্থী গ্রহণের সীমা ঘোষণা ট্রাম্পের

অনলাইন ডেস্ক: / ৩৭ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫
-প্রতীকী ছবি।

আগামী ২০২৬ অর্থবছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বনিম্ন শরণার্থী গ্রহণের সীমা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন ঘোষণায় মাত্র সাড়ে ৭ হাজার শরণার্থীকে সে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক নথিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ জন শরণার্থীকে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেবে। এর বেশিরভাগই হবে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ অভিবাসী-যা আগের বছরের তুলনায় নাটকীয়ভাবে কম।তুলনামূলকভাবে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে এই সংখ্যা ছিল বছরে ১ লাখ ২৫ হাজার। সরকার এখনো এই সিদ্ধান্তের সুনির্দিষ্ট কারণ জানায়নি। তবে ফেডারেল রেজিস্টারে বলা হয়েছে, ‘মানবিক কারণ’ বা ‘জাতীয় স্বার্থে’ যাদের প্রয়োজন মনে হবে, শুধু তাদেরই গ্রহণ করা হবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তে কার্যত বিশ্বের কোটি কোটি বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দরজা বন্ধ হচ্ছে। নতুন কোটা অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গদের শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কারণ, ট্রাম্পের দাবি, তাঁরা জাতিগত বৈষম্যের শিকার।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ‘শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানদের প্রতি বৈষম্যের’ অভিযোগ তুলে দেশটিকে দেওয়া মার্কিন অর্থনৈতিক সহায়তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এ নীতি ট্রাম্পের আগের কার্যকালেও দেখা গিয়েছিল। ২০২০ সালে তিনি ২০২১ অর্থবছরের জন্য শরণার্থী সীমা নামিয়ে ১৫ হাজারে, আর ২০১৯ সালে ১৮ হাজারে নির্ধারণ করেছিলেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে শরণার্থী ৪ কোটি ২৭ লাখের বেশি মানুষ।

মানবাধিকার ও অভিবাসন সংস্থাগুলো ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক ও বৈষম্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেছে। আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো অ্যারন রাইকলিন-মেলনিক বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন এখন এমন লোকজনকে শরণার্থী বলছে, যাঁরা আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা অনুযায়ী শরণার্থী নন। এটি কার্যত শ্বেতাঙ্গদের অভিবাসনের নতুন অজুহাত।

সূত্র : বিবিসি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর