শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
শরীফ ওসমান হাদি মরদেহ:বিমানবন্দরে ৯ প্লাটুন আনসার মোতায়েন ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ’-২: কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক বগুড়ার শেরপুরে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত: ভোরে মিলল অজ্ঞাত লাশ ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, সতর্ক অবস্থানে পুলিশ-র‌্যাব-সেনা ভৈরব থানা পরিদর্শন করলেন জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন এনসিপি কমিটিতে নিজের নাম দেখে এনায়েতপুরের প্রবীণ বিএনপি নেতার তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ পাকিস্তানে আটকে থাকা পাঁচ শতাধিক আফগানকে নেবে জার্মানি পত্রিকা অফিসে হামলার তীব্র নিন্দা মির্জা ফখরুলের শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে বিএনপির শোক
নোটিশ:
তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয় নিবন্ধনকৃত অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য পিপলস্ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকে সারা দেশে জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে। মোবাইল: ০১৭১১-১১৬২৫৭, ০১৭১২-৪০৭২৮২ ' ই-মেইল : thepeopelesnews24@gmail.com

মেয়ের প্রেমিকের বন্ধুকে পিটিয়ে হত্যা; ১৪ দিনেও গ্রেফতার নেই

কুমিল্লা প্রতিনিধি : / ২৯ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫
-মো. তুহিন

মেয়েকে তার প্রেমিকের সাথে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে কলেজছাত্র মো. তুহিনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। তুহিন কুমিল্লা বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের ছাত্র। সে উপজেলার বাহেরচর গ্রামের মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে। তুহিন হত্যায় অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বাবুসহ অন্যান্যদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে একাধিকবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী এবং শিক্ষার্থীরা। এদিকে ১৪ দিনেও গ্রেফতার হয়নি তুহিনের হত্যায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি।

তুহিনের মা ফেরদৌসি আক্তার বলেন, উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে সম্প্রতি তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যান। পালিয়ে গিয়ে মেয়ে ফেসবুকে লাইভে তারা বিয়ে করেছেন বলে জানান। এজন্য কাউকে হয়রানি না করতে বলেন। এদিকে মেয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন মেয়ের প্রেমিকের বন্ধু তুহিন এই সন্দেহে তাকে ধরে নিয়ে যান সাইফুল ইসলাম। গত ২০ অক্টোবর রাতে তুহিনকে ধরে নিয়ে যান। তাকে গোবিন্দপুর গ্রামে একটি ভবনে নিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। তাকে মারতে মারতে অজ্ঞান করেন। তারপর পানি ছিটিয়ে জ্ঞান ফেরান। আবার তাকে নির্যাতন করেন। এভাবে তাকে বার বার নির্যাতন করে। তাকে নির্যাতনের বিষয়টি জানাজানি হলে তারা তুহিনকে ফেলে চলে যায়। ঢাকার একটি হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে থেকে ৫ দিন পর তুহিন ২৭ অক্টোবর মারা যান।

তিনি আরো বলেন, আমার ছেলেকে যে কষ্ট দিয়ে মারা হয়েছে, আমি চাই সাইফুল ইসলাম বাবুকেও সেই সাজা দেয়া হোক। তাকে ফাঁসি দিলে আমার ও ছেলের আত্মা শান্তি পাবে।

এদিকে ২০ অক্টোবর তুহিনের মা ফেরদৌসী আক্তার সাইফুল ইসলাম বাবুসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে বুড়িচং থানায় অভিযোগ করেন। অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন নাফিজ উদ্দিন, জহির মিয়া ও আবদুল আলিম।

বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হোসেন বলেন,  দ্রুতই এ হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য সার্বক্ষণিক বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করছেন।

বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক জানান, অভিযোগ দায়েরের সাথে সাথে মামলাটি গ্রহণ করা হয়। দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান আসামি সাইফুল ইসলাম বাবুসহ অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর