নওগাঁর মান্দার দেলুয়াবাড়ী এলাকার মরিয়ম খাতুন (১৫) নামের এক কিশোরী ধর্ষণের ফলে বাচ্চা প্রসব করেছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে মো. কামরুল ইসলাম ওরফে মোকছেদ (৩০) এর নামে থানায় মিথ্যে মামলা দায়ের করেন। অবশেষে সিআইডির তৎপরতায় সন্ধান মিলল সেই সন্তানের পিতার।
জানা যায়, গত বছরের ২২ জানুয়ারি কামরুল ইসলামের নাম উল্লেখ্য করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা। সেখানে সে বলে তার মেয়ের সাথে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কামরুল ইসলাম শারীরীক সম্পর্ক করে সন্তান জন্ম দেন। সেই মামলায় থানা পুলিশ সত্যতা না পাওয়ায় কামরুল ইসলামকে অব্যহতি দিয়ে থানা থেকে প্রতিবেদন দিলে বাদী নারাজি দেয়। এরপর আদালত পিবিআইকে পূর্ণতদন্ত করার নির্দেশ দেন। তাদের প্রতিবেদনেও বাদী নারাজি দেন। এরপর সে মামলাটি পূণরায় তদন্তের জন্য আদালত সিআইডিকে আদেশ দেন। তারপর ভিকটিমসহ তার পরিবারকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদে এজাহার নামীয় আসামী কামরুল ইসলামের নাম বলেন। পরবর্তীতে একাধিক ব্যক্তির নাম পায় সিআইডি। তাদেরও ডিএনএ টেস্ট করা হয় ঢাকার মালিবাগে। সেখানের রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করে হাসান তারিক নামের একজনের ডিএনএ এর সাথে ভিকটিমের বাচ্চা হযরত উমর এর ডিএনএ টেষ্ট মিলে যায়।
সিআইডি নওগাঁ জেলা শাখার ইনচার্জ সাবের রেজা আহমেদ বলেন, উক্ত মামলাটি হাতে পাওয়ার পরে একাধিক বাক্তির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পাঠালে দেখা যায় যে হাসান তারিক নামের একজনের সাথে ভিকটিমের বাচ্চা হযরত উমর এর ডিএনএ এর সাদৃশ্যতা পাওয়া যায়। এতে হাসান তারিক সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবে ভিকটিমের বাচ্চা হযরত উমর এর জৈবিক পিতা বলে প্রমান হয়। এজাহার নামীয় মো. কামরুল ইসলাম ওরফে মোকছেদ ওই শিশুর পিতা নয়। এরপর হাসান তারিককে আটক করে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।